সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার মাথার মূল্য ধার্য হয়েছিল ৮ লক্ষ টাকা। অন্তত ১৬টি বড় বড় মাওবাদী হামলার মূল চক্রী ছিল সে। সেই কুখ্যাত মাওবাদী (Maoist) নেতা বিনোদ হেমলার মৃত্যু হল করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে। পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওই নেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বিজাপুর ও সুকমা জেলা মধ্যস্থিত জঙ্গলে। জানা গিয়েছে, গত ৮ জুলাই তার মৃত্যু হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ খুঁজছিল মাও নেতা বিনোদ ওরফে হুঙ্গা ওরফে বিনোদান্নাকে। ৬০ বছর বয়সি প্রবীণ এই নেতা ছিল এলাকার ত্রাস। যে ১৬টি হামলা তার মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২০১৩ সালের মে মাসে ঝিরাম ঘাটিতে হওয়া হামলা। কিন্তু দীর্ঘদিনের চেষ্টাতেও তাকে ধরা যায়নি।
বস্তার রেঞ্জের পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ পি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিনোদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর ছিল মাও কম্যান্ডার বিনোদ গত মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তারপর থেকেই ওর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। সম্প্রতি পাওয়া খবর থেকে জানা গিয়েছে বিজাপুর-সুকমার মধ্যবর্তী জঙ্গলে গোপন ডেরাতেই করোনা আক্রান্ত বিনোদের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ওর শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভেঙে পড়ল ব্রহ্মস মিসাইল]
১৯৯৪ সালে নকশাল আন্দোলনে যোগ দেওয়া বিনোদ দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৩ সালে ঝিরাম ঘাটিতে হওয়া হামলার মূল পরিকল্পনা ছিল তারই। সেই হামলায় রাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের হত্যা করেছিল মাওবাদীরা। এছাড়াও ২০১৯ সালের এপ্রিলে বিজেপি বিধায়ক ভীমা মান্ডভি ও চার নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল যে মাও হামলায়, সেটারও মূল চক্রী ছিল বিনোদই।
কেবল বিনোদ নয়, গত মাস দুয়েকের মধ্যে প্রায় ২০ শীর্ষস্থানীয় ও মাঝারি মাও নেতা করোনায় মারা গিয়েছে। তারা সকলেই দক্ষিণ বস্তার অঞ্চলে গাঢাকা দিয়ে ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।