সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ব্যান্ডেল (Bandel Station) এবং মগরা স্টেশনের মাঝে কাজ চলছে। কাজ হচ্ছে মালদহ ডিভিশনেও। যার জেরে বাতিল হয়েছে উত্তরবঙ্গ এবং অসমগামী একাধিক ট্রেন। উত্তরবঙ্গ পর্যটনের ভরা মরসুমে রেলের এমন কাণ্ডে নাজেহাল পর্যটকরা। কাউকে বাতিল করতে হচ্ছে বহুদিন আগে পরিকল্পনা করা ট্যুর তো কেউ আবার বেড়ানো সেরে বাড়ি ফিরতে গিয়ে হচ্ছেন নাজেহাল। কারণ এমন পরিস্থিতিতে বাসের ভাড়া আকাশ ছুঁয়েছে। তথৈবচ অবস্থা বিমান ভাড়ারও। সোশ্যাল মিডিয়ার ট্যুরিজমের গ্রুপগুলি অভিযোগে ভরে গিয়েছে।
ব্যান্ডেল এবং মহরা স্টেশনের মাঝে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং এবং থার্ড লাইনের কাজ চলছে। যার জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত চুঁচুড়া-ব্যান্ডেল, ব্যান্ডেল-খন্ন্যান, ব্যান্ডেল-ত্রিবেণীর মধ্যে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নিত্যযাত্রীদের জন্য কিছু স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার হাওড়া-চুঁচুড়ার মধ্যে ৮টা, শনি এবং রবিবার ১৮টা ট্রেন চালানো হচ্ছে। কাজ চলছে মালদহ ডিভিশনেও। ফলে উত্তরবঙ্গ এবং অসমগামী একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ফলে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন পর্যটক এবং অফিসের কাজে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতকারীরা।
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের আঁতুরঘর যাদবপুরের পড়ুয়াদেরই পছন্দ, ১০ জনকে কোটি টাকা চাকরির প্রস্তাব]
ট্রেন না চললে বিকল্প পথ বাস, বিমান কিংবা টানা গাড়ি। অভিযোগ, তিন ক্ষেত্রেই ভাড়া এতটা বেড়েছে যে তাতে চাপাই দায়। সাধারণত বাসে শিলিগুড়ি-কলকাতা বা কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটের ভাড়া থাকে ১৮০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। সেই ভাড়া একলাফে ৫ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। বিমানের ভাড়া ১০ হাজার টাকার বেশি। আবার যেক’টি ট্রেন চলছে, তাতেও তৎকাল টিকিট মিলছে না। ফলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। এমনকী, শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নিকটবর্তী শহরে পৌঁছনোর জন্য গাড়ির খরচ বেড়েছে অনেকটাই। আবার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় আসার টানা গাড়ির ভাড়া পড়ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে বেজায় বিপাকে পর্যটকরা।
[আরও পড়ুন: পরেশকন্যা অঙ্কিতার নাম জড়ানোর জের! ইন্টারভিউ স্থগিত কলেজ সার্ভিস কমিশনের]
পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে অতিরিক্ত বাস পরিষেবা শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহণ নিগম। কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে এতদিন দিনে দু’টি বাস চলত। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনটি বাস চালানো হচ্ছে। আরও কিছু বাস স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে শিলিগুড়ির ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলছেন, “স্থানীয় গাড়ির চালকদের বলা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে কথা শোনা হচ্ছে না।”