সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে সাত-আটজন মিলে বেধড়ক মারধর। তারপর গাড়ির পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল অনেকখানি রাস্তা। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪০ বছরের ওই দলিত যুবককে হাসপাতালে ভরতিও করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। দলিত যুবকের উপর এমন অত্যাচারের ঘটনার ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নিচুম জেলায়। পুলিশ জানায়, সামান্য একটি দুর্ঘটনা থেকে বিষয়টির সূত্রপাত। নিমুচ-সিঙ্গোলি রোডের উপর দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন দুধ ব্যবসায়ী ছিতর মাল গুর্জর। সেই সময়ই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কানহাইয়ালাল ভিলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। রাস্তায় পড়ে যায় সঙ্গে থাকা দুধ। আর তাতেই কানহাইয়ার উপর মেজাজ হারান গুর্জর। অভিযোগ, এরপরই ঘটনাস্থলে নিজের বন্ধুদের আসতে বলেন গুর্জর। জনা সাত-আষ্টেক মিলে তারপর চড়াও হয় বান্দা গ্রামের দলিত পরিবারের যুবক কানহাইয়ার উপর।
[আরও পড়ুন: UNSC on Afghanistan: সন্ত্রাস নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের বিবৃতিতে নেই তালিবানের নাম, নীরব দর্শক ভারত]
তাঁর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়, যে দড়ির অন্য প্রান্ত বাঁধা ছিল একটি লরির সঙ্গে। সেই অবস্থাতেই চলতে শুরু করে লরি। অনেকটা রাস্তা এভাবেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই ঘটনার ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। নৃশংস ঘটনা ঘিরে বিতর্কের ঝড় ওঠে। এরপরই তদন্তে নেমে প্রথমেই হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার সেখানে প্রাণ হারান নির্যাতিত কানহাইয়া। অভিযুক্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ছিতর মাল গুর্জর-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আটজনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের অমানবিক এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত সে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ (Kamal Nath)। মধ্যপ্রদেশে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটছে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।