প্রণব সরকার আগরতলা: ত্রিপুরায় এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় এইডসে ৪৭ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বটে, কিন্তু সেটা গত ১৭ বছরে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার এইএচআইভি সংক্রমণ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা করছে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪৭ জন ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে তা হয়েছে গত ১৭ বছর। সরকারি তথ্যে জানা গিয়েছে ২০০৭ সাল থেকে রাজ্যে এইডস (AIIDS) আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের উপর। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৮২৮ জন। মানিক সরকার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এইডস ও এইচআইভি মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সচেতনতা শিবির থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত রক্ত পরীক্ষা করা। বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। আক্রান্তরা সবাই নিয়মিতভাবে ওষুধ নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: গৃহিণীরও থাকা উচিত ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’, ATM কার্ড, গৃহবধূর অধিকারে সরব সুপ্রিম কোর্ট ]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ত্রিপুরা স্টেট এডস কন্ট্রোল সোসাইটির (টিসিএসিএস) রিপোর্টে বলা হয়, রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণ। এইচআইভি পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৮২৮ জনের। এরা সকলেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আরও স্পষ্ট করে বললে, ২২০টি স্কুল, ২৪টি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। টিসিএসিএস-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা ৮২৮ জন এইচআইভি পজিটিভ পড়ুয়ার নাম নথিবদ্ধ করেছি। এর মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৫৭২ জন এখনও বেঁচে আছেন এবং এখনও এই রাজ্যে আছেন। বাকিরা উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্যের বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চলে গিয়েছেন বলেই খবর।’’
[আরও পড়ুন: ভোট দিতে গিয়ে ভিডিও করলেন মহিলা, বেরিয়ে দেখালেন TMC নেতাকে! শোরগোল রায়গঞ্জে]
রাজ্যে বিপুল এইডস আক্রান্তের খবরে জনমানসে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বিভ্রান্তিও ছড়ায় সরকারি স্তরে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, এ ব্যাপারে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। ১৭ বছর ধরে এইডস আক্রান্তের সংখ্যাও তিনি এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন।