সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলছাড়ার জল্পনা ছিল অনেকদিনই। দূরত্বও ক্রমশ বাড়ছিল। এবার সেই জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman)। প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন, ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে আর লড়বেন না তিনি। সূত্র বলছে, কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে চলেছেন সুদীপবাবু। তবে তিনি একা নন, আরেক বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আশিস রায়ও সঙ্গী হতে পারেন তাঁর।
বিজেপির (BJP) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে দূরত্ব সর্বজনবিদিত। লোকসভা ভোটের পর কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর মন্ত্রিত্ব। এখন তো গেরুয়া শিবিরে কার্যত একঘরে সুদীপবাবু। তাঁর অনুগামীদের আয়োজিত এক রক্তদানের অনুষ্ঠান ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুদীপবাবু। জানান, তেইশের ভোটে তিনি আর বিজেপির টিকিটে লড়বেন না। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে তাঁর আর আগ্রহ নেই। সূত্রের খবর, বিজেপি ছাড়তে পারেন আরও এক বিধায়ক আশিস রায়। ইতিপূর্বে বিধায়ক আশিস দাস বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পর পর তিন বিধায়কের দল ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হলেও চাপে ত্রিপুরার শাসক দল।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: দেশে একদিনে করোনার কবলে ২ লক্ষ ৪৭ হাজার, আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক মোদির]
ত্রিপুরার পুরভোটে চমকে দিয়েছে তৃণমূল। বহু পুরসভা ও পুরনিগমে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাঁরা নিজেদের বিজেপির বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে সে রাজ্যে। সুদীপ রায় বর্মন-সহ একাধিক বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। তাহলে কি সুদীপবাবু এবং তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন, এটাই ত্রিপুরায় এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও রাজনৈতিক মহলে এখনও অন্য গুঞ্জন।
রাজনৈতিক মহল বলছে, পুরনো দল কংগ্রেসেই ফিরবেন সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস রায়। আর সেটা হলে ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় পাশা পালটে যেতে পারে। একদিকে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মন নতুন তিপ্রামথা গড়েছেন। জনজাতির মধ্যে এই দলের প্রভাব বিরাট। এডিসি ভোটে চমক দিয়েছেন প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মনের দল। এবার বিধানসভায় জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় তাঁর এই প্রভাব থাকলে এবং আগরতলা এলাকায় সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসের হয়ে ভোটব্যাংক অটুট রাখতে পারলে, বিজেপি যে চাপে পড়বে তা বলাইবাহুল্য। তবে তিনি কোন দলে যাচ্ছেন সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সুদীপ রায় বর্মন। ফলে তাঁকে ঘিকে জল্পনা জিইয়েই রইল।