সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ত্রিপুরায় (TMC in Tripura) ‘পুলিশি জুলুমে’র মুখে তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার সকালে হোটেল পোলাে টাওয়ারে হানা দিল পুলিশ। উদ্দেশ্য, বাংলার যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষকে আটক করা। যদিও তাঁকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। তিনি সায়নীকে নিতে থানায় যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার পুরভোটের প্রচারে সে রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার আগে ফের আইনি ঝামেলায় থানায় তলব করা হল তৃণমূল নেতৃত্বকে। পরে অবশ্য আশ্বাস মতো থানায় যান সায়নী। সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেবরাও।
সামনেই ত্রিপুরার পুরভোট (Tripura Civic Poll)। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে সে রাজ্যে অস্থায়ী আস্তানা তৈরি করেছে নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সায়নী ঘোষেরা (Sayani Ghosh) রয়েছেন পোলো টাওয়ার হোটেলে। এদিন সকালে সেই হোটেলেই চড়াও হয় স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের দাবি, সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন জখম হয়েছেন। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নীকে আটক করতে আসে পুলিশ। যদিও পুলিশকে আগে নোটিস দিতে হবে বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। এমনকী, সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হোটেল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিপাকে মধ্যবিত্ত, রাজ্য সরকারের বিনামূল্যের তালিকা থেকে বাদ বেশকিছু ওষুধ]
কুণাল ঘোষের দাবি, “বিজেপি ভয় পেয়েছে, তাই বারবার পুলিশ পাঠাচ্ছে, গুণ্ডা পাঠাচ্ছে। পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে ওরা। তবে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে থানায় যাব। কেন ডেকেছে দেখব।” সায়নী ঘোষের দাবি, “আমরা তো পালিয়ে বেরাতে আসিনি। চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে এসেছি। তাই ডেকেছে যখন থানায় অবশ্যই যাব।” সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণের মধ্যে সায়নীকে নিয়ে থানায় যাবেন কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে লড়াই করছে তৃণমূল। সেই নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বারবার আক্রমণের মুখে পড়েছে তারা। এবার সরাসরি হোটেলে হানা দিল পুলিশ। যার জেরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের রাজনৈতিক চাপানউতোরের পারদ আরও চড়ল।