সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোদের তাপে কলকাতা যেন অগ্নিকুণ্ড হয়ে উঠেছে। তার উপরে করোনা (Corona Virus) কালে বাড়তি অলঙ্কার হিসেবে এসে জুটেছে মাস্ক। যতই কষ্ট হোক, নিরাপত্তার খাতিরে তা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখতেই হয়। জীবনের এই তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি চান? দিন কয়েকের জন্য পরিযায়ী পাখি হয়ে যেতে চান? তাহলে টুরুকে (Turuk) পাড়ি দিতেই পারেন।
একদিকে সিকিম, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ। এই দুইয়ের মাঝখানে দিব্য আছে ছোট্ট টুরুক। মাথার উপরে নীল আকাশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে ব্যস্ত সাদা মেঘের দল। সবুজের আস্তরণে নিজেকে ঢেকে আবার সুখনিদ্রায় পাহাড়ের সারি। আনকোরা এই প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ অনেকেই ছাড়বেন না। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে হোম স্টে গড়ে উঠেছে বটে, তবে টুরুকের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয় টুরুক কোঠি (Turuk Kothi)।
[আরও পড়ুন: অচেনার সন্ধানেও হারিয়ে যেতে ভালবাসেন? আপনার গন্তব্য অবশ্যই হোক সিকিমের এই গ্রাম]
প্রায় একশো বছরের পুরনো এই টুরুক কোঠি। একসময় সিকিমের প্রথম মন্ত্রী লক্ষ্মী দাসের (Laxmi Das) বাংলো ছিল। তারপর বহু বছর ধরে জেলার হেডকোয়ার্টার ছিল। তবে এখন এটিকে গেস্ট হাউস হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। থাকা ও খাওয়ার সুবন্দোবস্তর পাশাপাশি প্রকৃতিকে উপভোগ করার আদর্শ ঠিকানা এই গেস্ট হাউসটি। এছাড়াও অনেক কিছু রয়েছে অফবিট এই ডেস্টিনেশনে। সকালে ওঠার অভ্যাস থাকলে সূর্যোদয় দু’টি চোখকে আরাম দেবে। ঘাসের চাদরে নেবেন বিশ্রাম। পাখিদের সুরেলা কলতানে মন পাবে শান্তি।
কীভাবে যাবেন প্রকৃতির এই প্রাসাদে?
কলকাতা থেকে টুরুকের দূরত্ব ৭৮০ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি হয়েই যেতে হবে। গ্যাংটকের পথে যাওয়ার টাটা সুমো বুক করে নিতে পারেন। মেল্লি বাজারে নেমে যাবেন। সেখান থেকে টুরুক যেতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগবে। অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনও সময় চলে যেতেই পারেন তল্পিতল্পা গুটিয়ে।
[আরও পড়ুন: ডাকছে ‘মিনি সুন্দরবন’, দোলের ছুটিতে ঘুরেই আসুন পুরুলিয়ার এই গ্রামে]