সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে টুইটারের (Twitter) সংঘাত এবার নয়া মোড় নিল। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যেই যেন কেন্দ্রের দেওয়া যাবতীয় শর্ত ও নির্দেশিকা মেনে চলা শুরু করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট। এবার পালটা আদালতের দ্বারস্থ হল টুইটার। কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত কেন্দ্রের যে নির্দেশ তার মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটি নির্দেশ নিয়েই আপত্তি তাদের।
কর্ণাটক হাই কোর্টের কাছে এই বিষয়ে আরজি জানানোর সময় টুইটার দাবি করেছে, কেন্দ্রের বেশ কিছু নির্দেশ ‘ক্ষমতার অপব্য়বহার’ ছাড়া কিছু নয়। গত কয়েক মাস ধরেই টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের মতান্তর চলছিল। এবার সেই সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করল।
[আরও পড়ুন: একদিনেই ভোল বদল! কাশ্মীরে ধৃত জঙ্গিকে নিজেদের কর্মী বলতে অস্বীকার বিজেপির]
ঠিক কী অভিযোগ টুইটারের? মঙ্গলবার যে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে করা পোস্টের কন্টেন্টকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। টুইটারের মতে, এটা বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর টুইটারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সমস্ত বিদেশি ইন্টারনেট মধ্যস্থতাকারী কিংবা প্ল্যাটফর্মের অধিকার রয়েছে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার জন্য আদালতের যাওয়ার। কিন্তু এরই পাশাপাশি ওই সব সংস্থাকে দেশের আইন শৃঙ্খলাও বাধ্যতামূলক ভাবে মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ব্যবসা করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টগুলিকে ভারতের আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। যা ফেসবুক শুরুতে মেনে নিলেও বিতর্কে জড়ায় টুইটার। তবে হাজারো বিতর্কের পর টুইটার সব শর্ত মেনেও নেয়। কিন্তু পরে মতান্তর শুরু হয়ে যায়। গত মে মাসেই কেন্দ্র অভিযোগ তোলে, ভারতীয় সংবিধানের অবমাননা করেছে টুইটার এবং মেটা (ফেসবুকের বর্তমান নাম)। এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হল মাইক্রো ব্লগিং সাইট।