সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুর দায়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না দুঃস্থ মা-বাবার৷ দিন আনি দিন খাই অবস্থাতে জীবন কাটানো হরিতা ত্রিপুরা আর চরণ ত্রিপুরা তাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না সন্তানের লালন-পালন করবেন কেমন করে! আর তাই শেষটায় দারিদ্র্যের কাছে হার মেনে মাত্র ৬৫০ টাকার জন্য বিক্রি করে দিলেন নিজেদের শিশুকন্যাকে৷ ত্রিপুরার এক উপজাতি সম্প্রদায়ের দম্পতির চরম দারিদ্র্যের বশে নেওয়া এমন সিদ্ধান্তে হতবাক গোটা দেশ৷
জানা গিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর হরিতা এবং তাঁর স্বামী চরণ নিজেদের দু’বছরের সন্তানকে রিতা চকমার কাছে বিক্রি করে দেন৷
ত্রিপুরার উপজাতি মানুষের এই দুরবস্থা নিয়ে কথা বলার সময় প্রশাসনের উপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন৷ জানিয়েছেন, “ত্রিপুরার উপজাতি এলাকাগুলি চরম দারিদ্র্য কবলিত৷ এখানে মানুষ খিদের জ্বালায় জ্বলছেন অহরহ৷ আর এই খবরগুলিই প্রকাশ্যে আসতে দেয় না প্রশাসন৷ এখানকার মানুষের টিকে থাকার লড়াই যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়৷ আগেও পেটের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করার ঘটনা ঘটেছে এই অঞ্চলে৷”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৎপরতা অবলম্বন করেছে পুলিশ৷ শিশুটিকে আগরতলার অভয়নগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
পেটের তাড়নায় সন্তানকে বিক্রি করার ঘটনা এই প্রথম নয়৷ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে খোয়াই জেলার মুণ্ডা বস্তি এলাকায় এক দম্পতিও ৪৫০০ টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাতকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন৷
The post অভাবের তাড়নায় ৬৫০ টাকায় সন্তানকে বিক্রি আদিবাসী দম্পতির appeared first on Sangbad Pratidin.