সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবীপক্ষ পড়ে গিয়েছে। তিলোত্তমা সেজে উঠেছে পুজোর সাজে। বাদ নেই বাণিজ্যনগরীও। সাগড়পাড়ের মুম্বইয়েও এখন উৎসবের আমেজ। সেখানেও মণ্ডপে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেখানকার অন্যতম বাঙালি সংগঠন গোরেগাঁওয়ের ‘কল্লোল’-ও উদ্যোগ নিয়েছে মাতৃ আরাধনার। এবছর তাদের থিম রাজস্থান। মণ্ডপ সেজে উঠেছে বিভিন্ন রাজস্থানী হস্তশিল্প দিয়ে।
মুম্বইয়ের অন্যতম বাঙালি সংগঠন ‘কল্লোল’ বছর খানেক ধরে দুর্গাপুজো করে আসছে। গত বছর এখানকার থিম ছিল বিশ্ব উষ্ণায়ন। ক্রমবর্ধমানভাবে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে শোলা দিয়ে মূর্তি ও প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল। এবছর যেহেতু এক টুকরো রাজস্থানকে তুলে আনা হয়েছে মণ্ডপে, তাই কাপড়ের পুতুল, বড়বড় কলসি দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। কলসি ও কাপড়ে কাচের কাজও করা হয়েছে। এই থিম রাজস্থানের ডান্ডিয়া উৎসবের দ্বারা অনুপ্রাণিত। জায়গায় জায়গায় রাজস্থানী পুতুলগুলিকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিমা সেজে উঠেছে সোনার গয়নায়।
[ আরও পড়ুন: পাড়ায় পাড়ায় কাঁদছে ‘দুর্গা’, দেবী প্রতিমার দর্শন আর হয় না ]
সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে মানবসমাজে সংহতি ও ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘কল্লোল’-এর পথচলা। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মুম্বই শহরের বাঙালিদের একত্রিত করার কাজটি করে আসছে সংগঠনটি। নতুন প্রজন্ম যাতে ঐতিহ্যের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে, সেজন্যও চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না সংগঠনের সদস্যরা।
ঐতিহ্যের পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতিকে বজায় রাখার কাজও করছে ‘কল্লোল’। তাই খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক ক্রিয়াকলাপের আয়োজন করা হয় পুজোর দিনগুলিতে। এমনকী স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে এই সংস্থা দাতব্য হোমিওপ্যাথিক ও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসালয়েরও প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রয়োজন অনুসারে বাঙালি পাঠকদের জন্যও বিভিন্ন বইয়ের সংগ্রহশালাও রয়েছে এখানে। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এই সংস্থার পক্ষ থেকে অভাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয়। এখানকার সদস্যদের কথায়, এগুলি সম্ভব হয়েছে কিছু ব্যক্তিগত এবং কিছু সংগঠনের সহযোগিতায়।
[ আরও পড়ুন: প্রতিপদেই শুরু আরাধনা, বহরমপুরের ২৫০ বছরের পুরনো পুজো ঘিরে শুরু উন্মাদনা ]
The post এক টুকরো রাজস্থান উঠে এল মুম্বইয়ের পুজো মণ্ডপে appeared first on Sangbad Pratidin.
