সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাজানো বাগানে উড়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য রঙ-বেরঙের প্রজাপতি- এ তো খুব সাধারণ দৃশ্য৷ কিন্তু শুধু প্রজাপতিদের জন্যই আস্ত একটা বাগান তৈরির কথা সচরাচর শোনা যায় না৷ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এমন বাগান যে নেই তা নয়৷ তবে একা হাতে এমনই এক বাগান তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন ডঃ ভি শুভলক্ষ্মী৷
কেন এমন প্রজাপতির বাগান তৈরির কথা ভাবলেন তিনি? আসলে তিনি একজন পতঙ্গ বিশারদ৷ পতঙ্গদের নিয়েই তাঁর দিন কাটে৷ রঙিন প্রজাপতি তিনি যে ভালবাসবেন এতে আর অবাক হওয়ার কী আছে! দিনভর হরেক প্রজাপতিদের সঙ্গে কাটানোর একটি পরিসর তৈরি করতে পারলে মন্দ হয় না! এরকম ভাবনা ভেবেছেন অনেকবার, কিন্তু সুযোগ আসেনি৷ এক কর্পোরেট সংস্থার সিএসআর কর্মসূচিতে এই কাজ করার সুযোগ পান তিনি৷ মুম্বইয়ের বেলাপুরে গড়ে তোলেন এই স্বপ্নের বাগান৷
প্রায় ২৪০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা জুড়ে আছে এই প্রজাপতি বাগান৷ সারি সারি ডালিয়া, গোলাপের আকর্ষণে ছুটে আসছে অসংখ্য প্রজাতির প্রজাপতি৷ গবেষণা করে এমন এমন গাছ রেখেছেন শুভলক্ষ্মী, যাতে বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি আসতে পারে৷ তাই নানা না-চেনা ফুলের গাছে এ বাগান ভর্তি৷ তবে এটাই সব নয়৷ পরিবেশের ছোটখাটো পরিবর্তনও প্রজাপতিদের যাওয়া-আসায় প্রভাব ফেলে৷ আর তাই বাগান ও বাগান সংলগ্ন এলাকার পরিবেশকে যথাসম্ভব দূষণমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়৷
মুম্বইয়ের থানেতে অবশ্য একটি প্রজাপতির বিরাট বাগান আছে৷ পর্যটকদের জন্য তা রীতিমতো দ্রষ্টব্য স্থান৷ কিন্তু শুভলক্ষ্মী জানাচ্ছেন, শুধু প্রজাপতির আবাসই নয় তাঁর এই বাগান৷ এখান থেকে পরিবেশ রক্ষার বড় কাজও করা যেতে পারে৷ কীরকম? পরিবেশের ছোটখাট পরিবর্তন প্রজাপতির জীবনযাত্রাতেও বড় প্রভাব ফেলে৷ তাই প্রজাপতির জীবন পরীক্ষা করলেই পরিবেশের পরিবর্তনের হদিশ মিলবে৷ পরিবেশের বড় কোনও ক্ষতি হওযার আগেই তার আঁচ পাওয়া যাবে৷
শুধু এই একটি বাগান নয়, শহর জুড়ে আরও ছ’টি বাগান তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি৷ কমিউনিকেশন টেকনোলজির যত উন্নতি হয়েছে রেডিয়েশনের ঠ্যালায় মানুষের জীবন থেকে উধাও হয়েছে প্রজাপতিরা৷ তাদেরকে আবার ফিরিয়ে এনে মানুষের বসতির চারপাশ আরও সুন্দর করতেই উদ্যোগী হয়েছেন শুভলক্ষ্মী৷
The post মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে প্রজাপতিদের নতুন ঠিকানা appeared first on Sangbad Pratidin.
