গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সকাল থেকেই সারমেয়র ডাকাডাকি চলছিল আমবাগানের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হতেই তাঁরা সেখানে পৌঁছন। দেখা যায়, সেখানে মাটির মধ্যে কাপড় জড়ানো অবস্থায় এক সদ্যোজাত শিশুকন্যা পড়ে রয়েছে। তাই দেখেই চক্ষুচড়কগাছ হয় বাসিন্দাদের। সদ্যোজাত উদ্ধারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়া জমিদারবাড়ির আমবাগানে।
বসিরহাটের মাটিয়া থানার ধান্যকুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউ জমিদার বাড়ির আমবাগানে প্রতিদিনই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাতঃভ্রমণ করেন। আজ রবিবার সকালেও কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী সেখানে ছিলেন। বাগানের একটি অংশের থেকে একটি সারমেয়কে ডাকাডাকি করতে শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে কেউ তেমন ওই ঘটনাকে পাত্তা দেননি। কিন্তু বেশ কিছু সময় হওয়ার পরেও সেই হাঁকডাক থামেনি। এরপরেই বাগানে উপস্থিত লোকজন সেখানে গিয়ে পৌঁছন। দেখা যায় একটি কাপড়ের পুঁটলি পড়ে রয়েছে সেখানে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, কাপড় জড়ানো অবস্থায় ওই সদ্যোজাত পড়ে রয়েছে। সেই পুঁটলি দেখেই সারমেয়টি ডাকাডাকি করছিল।
ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে বাগানে উপস্থিত লোকজন। দেখা যায়, ওই শিশুকন্যার শরীরে প্রাণ আছে। দ্রুত মাটিয়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শিশুটিকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই শিশুটি চিকিৎসাধীন। শিশুটির শরীর, মুখে একাধিক দাগ রয়েছে। কিন্তু কে বা কারা ওই সদ্যোজাত শিশুকন্যাতে ফেলে রেখে গেল? কন্যা হওয়ার জন্যই কি ঘরে জায়গা হল না ওই সদ্যোজাতের? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের এলাকাতেও খোঁজখবর করা শুরু হয়েছে। ওই সারমেয়টির জন্যই দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
