সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতে রাশিয়াকে খণ্ডিত ইউক্রেন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্তি প্রচেষ্টা চালান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, পুরো ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এইসঙ্গে অতীতের সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউরোপের কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারের উচ্চাকাঙ্ক্ষাও রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের।
গত সেপ্টেম্বর মাসের মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যা আমেরিকার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পুতিনের এই পরিকল্পনা সত্যি হলে ইউক্রেন যুদ্ধ থামা এবং শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি বিশ বাঁও জলে পড়বে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী পুতিন। যদিও গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। এমনকী পুতিন ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপের জন্যও বিপজ্জনক, এমনটাও দাবি করা হয়েছে প্রকাশ্যে আসা গোয়েন্দা বিশ্লেষণে।
গোয়েন্দা রিপোর্টের বক্তব্য হল ইউক্রেন ছাড়াও অতীতের সোভিয়েত সাম্রাজ্য, এমনকী ন্যাটো জোটভুক্ত দেশসমূহ দখলের ইচ্ছা পোষণ করেন পুতিন। মার্কিন হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্য মাইক কুইগলি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য সবসময়ই জানিয়েছে—পুতিন আরও বেশি চান। ইউরোপীয় নেতারাও এতে নিশ্চিত।’
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক প্রদেশের অধিকাংশ অংশ, পূর্বাঞ্চলের শিল্পসমৃদ্ধ দনবাস অঞ্চল, জাপোরিঝিয়া, খেরসন এবং কৌশলগত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ। এই সব অঞ্চল-সহ চারটি প্রদেশকে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করেন পুতিন। অন্যদিকে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের দোনেৎস্কের যে ছোট অংশ এখনও কিয়েভের দখলে রয়েছে, তা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, যা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ‘যুদ্ধ থামাতে গেলে ইউক্রেনকে ডনবাসের কিছু অংশ ছেড়ে দিতেই হবে। কারণ ৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে মস্কো সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে।’ তবে ট্রাম্পের সেই চাপের সামনে মাথানত করতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এবারের মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে অবশ্য শান্তি প্রক্রিয়া আরও জটিল আকার ধারণ করল।
