সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনে রক্তাক্ত হয়েছে দেশের নানা প্রান্ত। এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা কত? সেই নিয়েই রিপোর্ট পেশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। আজ শুক্রবার, জেনেভা থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে আন্দোলনের সময় ৩২ শিশু-সহ ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ১০ পাতার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০০ জন। আর ৫ থেকে ৬ আগস্টে প্রাণ গিয়েছে ২৫০ জনের। নিহতদের মধ্যে আছে বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। রিপোর্টে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসিনা সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদ-সহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় যাবে। প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানের জন্য তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
[আরও পড়ুন: মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী! চিনে নিন পেতংতার্নকে]
উল্লেখ্য, ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে পতন ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের। এখন দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার বিক্ষোভ চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই নয়া সরকার। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ তুলেছিলেন পড়ুয়ারা। গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মধ্যে সমস্ত হত্যার মামলার বিচার হবে। তদন্ত ও বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশকে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।