সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে তীর্থযাত্রীদের বাসে আগুন লাগার ঘটনা কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং নাশকতা! এমনই দাবি করেছে এক অনামী জেহাদি সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস (Jammu Kashmir Freedom Fighters) বা জম্মু-কাশ্মীর স্বাধীনতাকামী সংগঠন। তাদের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে চিঠির সত্যতা নিয়ে ধন্দে কাশ্মীর পুলিশ। তাঁদের দাবি, এই নামে কোনও জঙ্গি সংগঠনের (Terror Outfit) খবর পুলিশের কাছে নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।
শনিবার প্রকাশ্যে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, “তীর্থযাত্রার নামে হিন্দুত্ববাদীরা জম্মু-কাশ্মীরের জনসংখ্যার বৈচিত্র্যে পরিবর্তন আনতে চাইছে। কিন্তু তাদের এই জঘন্য ষড়যন্ত্র আমরা বানচাল করবই।” সংগঠনটির দাবি, জম্মু, উধমপুর এবং রাজৌরিতেও আমাদের বিশেষ স্কোয়াড ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কাটরায় তীর্থযাত্রীদের বাসেও ওই স্পেশ্যাল স্কোয়াডই বিস্ফোরণ ঘটাল। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর স্বাধীনতাকামী সংগঠনের হুঁশিয়ারি, “ভিনরাজ্যের মানুষকে হিন্দুত্ববাদীরা টোপ হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই ধর্মকর্ম করতে এই বিতর্কিত এলাকায় আসবেন না।” চিঠিটি লিখেছে জনৈক নাদিম চৌধুরি, যে নিজেকে সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ২০২৪ লোকসভায় গান্ধী পরিবার থেকে প্রার্থী শুধু রাহুল! ‘অ-গান্ধী’ হিসাবে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা]
তবে সংগঠনটির অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কাশ্মীর পুলিশের পদস্থ আধিকারিকের দাবি, “এই নামে কোনও সংগঠনের খোঁজ নেই। তবু এই মামলার সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিও। সেই নমুনাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
প্রসসঙ্গত, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে কাটরা (Katra Bus Fire) থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খরমল এলাকায়। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসির ডেপুটি কমিশনার বাবিলা রকওয়াল জানান, তীব্র গরমে বাসের পেট্রল ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। ইঞ্জিন থেকেই দ্রুত গোটা বাসে আগুন ধরে যায় বলে প্রাথমিক অনুমান। যাতে প্রথমে দু’জন এবং পরে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ২০ জন জখম হন। দমকল কর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।