সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরে বাংলায় হতে পারে অশান্তি। ফের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠকেও একই আশঙ্কা করলেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন তিনি। বিশেষত সীমান্ত এলাকায় নজর রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের ছাতিমতলা ময়দানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠক চলার সময় রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নদিয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা জিজ্ঞেস করেন। ডিজি জানান, যেহেতু সীমান্তের জেলা নদিয়া, তাই তার নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়। নানা ধর্মের মানুষের বাস। তাই সম্প্রীতি রক্ষাতেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানান। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “কেউ কেউ পরিকল্পনা করেছে ডিসেম্বর থেকে কমিউনাল যুদ্ধ লাগাবে। কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই লাগিয়েছে। ওদের এটাই একমাত্র পথ। এটা বাঁচার পথ নয়। চৈতন্যদেবের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলছি, জীবনটা শান্তির পথ। জীবনটা শান্তির আলো দেখার পথ।”
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে কুণালের সভা ‘বানচালের চেষ্টা’ বিজেপির! পালটা হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার]
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে ডিসেম্বর প্রসঙ্গ। দিনকয়েক আগেই শোনা গিয়েছিল, বিজেপির ‘ডিসেম্বর’ ফর্মুলা নিয়ে রাজ্য সরকার ফেলার প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি সিপিএমের দ্বারস্থও হয়েছে বিজেপি। কালীপুজোর সময় শিলিগুড়িতে প্রাক্তন মন্ত্রী ও সিপিএম নেতা তথা শহরের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যর বাড়িতে যান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। আর এই সাক্ষাৎ ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়। সূত্রের খবর, অশোক ভট্টাচার্যকে তাঁদের সরাসরি প্রস্তাব, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ডিসেম্বরেই ফেলে দেব। আপনারা সঙ্গে থাকুন।” বিজেপির ‘ডিসেম্বর’ ফর্মুলার পালটা বার্তাও দিয়েছিল তৃণমূল।
গত নভেম্বরের শুরুতে চেন্নাই সফরে যাওয়ার আগে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে রাজ্যে অশান্তি হতে পারে। এই আশঙ্কায় সকলকে সাবধান করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভাতেও সেই একই আশঙ্কার কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। পুলিশ প্রশাসনকে সতর্কও করলেন তিনি।