সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যে মাদ্রাসার (Madrasa) সিলেবাস বদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে যোগীরাজ্যে। নয়া শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সংসদের তৈরি করা সিলেবাস অনুয়ায়ী পড়াশোনা করবে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিরোধীদের অভিযোগ, কৌশলে মাদ্রাসা শিক্ষাকে রাজ্য থেকে মুছে ফেলতে চাইছে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। যদিও এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সংখ্যালঘু মন্ত্রী ধরমপাল সিং ফের জানালেন, মুসলিম পড়ুয়াদের সমাজের মূলস্রোতে আনাই উদ্দেশ্য। এদিকে নতুন করে রাজ্যের নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা মাদ্রাসাগুলির আর্থিক উৎস খুঁজতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু মন্ত্রী জানান, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে অবধি মাদ্রাসায় ক্লাস হয়। মুসলিমরা অভিভাবকরা অনেকে এর বদলে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো অবধি ক্লাস হোক চাইছেন। সেই দাবি মেনে এপ্রিল মাস থেকে নতুন সময়ে পড়াশোনা হবে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোয়।” এইসঙ্গে তিনি জানান, “আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা হল মুসলিম ছেলেমেয়েদের সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসা।” যদিও রাজ্যের বেশ কিছু মাদ্রাসার আর্থিক উৎস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার।
[আরও পড়ুন: ভারত সফরে ফুচকায় মজে জাপানের প্রধানমন্ত্রী! ‘লোভ সামলাতে পারছেন না’, মন্তব্য BJP নেতার]
ধরমপাল বলেন, “রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু মাদ্রাসার আর্থিক উৎস সন্দেহজনক। ওই মাদ্রাসাগুলি সরকারের নিয়ম মেনে না চললে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে মাদ্রাসাগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, মাঝে রাজ্যের অনথিভুক্তি মাদ্রাসাগুলিকে চিহ্নিতকরণে দুই মাসের মধ্যে জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ১৫ নভেম্বর সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরপরই সীমান্ত ঘেঁষা এলাকার মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বায়োমেট্রিক না মিললে আধার দেখিয়ে তোলা যাবে রেশন, সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
গত বছর অক্টোবর মাসে এক সমীক্ষার পর রাজ্যের ৩০৭টি মাদ্রাসাকে (Madrasa) বেআইনি ঘোষণা করে যোগী সরকার। ওই মাদ্রাসাগুলি একাধিক সরকারি বিধি লঙ্ঘন করায় তাদের বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি (BJP) সরকার। বেআইনি ঘোষিত মাদ্রাসাগুলির মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উল্লামও। মাদ্রাসগুলির প্রশাসনিক সমীক্ষার পরেই সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয়।