সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেবাননে ভয়ংকর সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহার করেছে ইজরায়েল! সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। এই কথা জানাজানি হতেই আঙুল উঠছে আমেরিকার দিকে। কারণ, তেল আভিভকে এই বোমাগোলো দিয়েছে ওয়াশিংটন। বলে রাখা ভালো, নিষিদ্ধ না হলেও এই নারকীয় হাতিয়ার এতটাই ভীতিপ্রদ যে এর ব্যবহার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলেই গণ্য হয়।
সম্প্রতি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। সেখানে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর মাসে লেবাননের ধেইরা শহরে সাদা ফসফরাস বোমা ফেলেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির এক সাংবাদিক নাকি নিজে ১৫৫ মিলিমিটারের শেল বা গোলার দুটি খোল দেখেছেন। অভিযোগ, সেগুলো ছুঁড়েছে ইজরায়েলের গোলন্দাজ বাহিনী। এই হামলায় বহু সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে। পালটা ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই খোলগুলো স্মোকশেলের যা থেকে শুধুমাত্র ধোঁয়া নির্গত হয়। অন্যান্য দেশের মতোই ময়দানের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। একে কোনওমতেই যুদ্ধাপরাধ বলা যায় না।
[আরও পড়ুন: ‘জীবিত ফিরবে না পণবন্দিরা’, হামাসের হুমকির পরই গাজায় আগুন ঝরাল ইজরায়েল]
এদিকে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়েছে। সোমবার এই বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত বিভাগের সমন্বয়কারী জন কারবি। উত্তরে তিনি বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছে আমেরিকা। এটা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা বন্ধু দেশের সেনাকে এমন হাতিয়ার দিয়ে থাকি। তবে সেগুলো অত্যন্ত ভেবেচিন্তে বৈধ কারণে এবং যুদ্ধের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই ব্যবহার করা হবে বলেই আমরা আশা করি।”
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে (Israel) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায় প্যালেস্তিনীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস। মৃত্যু হয় প্রায় দেড় হাজার ইজরায়েলির। অনেককে পণবন্দি করে গাজা ভূখণ্ডে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায় হামাস। পালটা গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও এই সংঘাতে হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হেজবোল্লা। ফলে দুটি ফ্রন্টেই লড়াই চালাতে হচ্ছে ইজরায়েলকে।