সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : মার্কিন হাউসের জুডিশিয়ারি কমিটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অনুমোদিত হল। ফলে তাঁকে অপসারণের রাস্তা আরও খানিকটা প্রশস্ত হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে শনিবারই এ নিয়ে টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, “আমি কোনও দোষ করি্নি। আমাকে অযথা ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।”
ক্ষমতায় থেকে কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদৌ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন? এ নিয়ে টানা দু’দিন বির্তক চলে। এরপর ভোটাভুটির উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন ডেমোক্রেটিক কমিটির চেয়্যারম্যান জেরি ন্যাডলার। আর তাতে বেজায় খাপ্পা হয়ে যান ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। এরপরই তড়িঘড়ি শুক্রবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের তদন্ত কমিটিতে ভোটাভুটি হয়। কমিটিতে প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে ২৩টি ও পক্ষে ১৭টি ভোট পরে। ফলে ওই কমিটি ক্ষমতার অপব্যবহারের দুটি অভিযোগেই ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে।
[আরও পড়ুন : রাজস্থানে তুষারপাত, বিরল ঘটনার সাক্ষী রইল মরুরাজ্য]
এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করা হবে কি না, সেই প্রস্তাবের উপর আগামী সপ্তাহে বির্তক ও ভোটাভুটি হবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে। এই হাউজে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে এই হাউজে সহজেই প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ বা অপসারণ করার প্রস্তাব পাশ হয়ে যেতে পারে। আইন বলছে, প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে ৫১ শতাংশ ভোট প্রয়োজন।এরপর সেনেট এই প্রস্তাব পাশ হওয়া জরুরী। কিন্তু সেখানে আবার রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
[আরও পড়ুন : দুর্ঘটনা রুখতে নয়া উদ্যোগ, বন্ধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে মোটরবাইক গলালেই ঠাঁই শ্রীঘরে]
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে? ডোনাল্ড টাম্পের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের ঝুড়িঝুড়ি অভিযোগ থাকলেও দুটি অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে মার্কিন হাউসের জুডিশিয়ারি কমিটি। এক, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে ইউক্রেনের উপর চাপ তৈরি। দুই, মার্কিন কংগ্রেসের তদন্তে বাধা দান। ট্রাম্প দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলেও অভিযোগ এনেছেন ডেমোক্র্যাটরা। যদিও প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
[আরও পড়ুন : বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার বোর্ডে ভুল বানানের ছড়াছড়ি, কটাক্ষ নেটিজেনদের]
তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করার ঘটনা বেনজির নয়।বরং, ট্রাম্প সে দেশের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ইতিপূর্বে ১৯৯৮ সালে বিল ক্লিনটনকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। সর্বপ্রথম ১৮৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেনেট কাউকেই দোষী সাব্যস্ত করেনি।
The post ট্রাম্পের গদি টলমল! অপসারণ নিয়ে ভোট প্রস্তুতি শুরু appeared first on Sangbad Pratidin.