সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই মাঝে মাঝেই অসংলগ্ন কথা বার্তা বলছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। গত মাসেই দু’মাস আগে মৃত এক সেনেটরের খোঁজ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার ব্রিটেনের (UK) নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) ‘রশিদ সানুক’ বলে বসলেন তিনি। যা শুনে তাজ্জব নেটিজেনরা।
গত সোমবারের ঘটনা। সকলকে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তাঁর মুখে উঠে আসে টোরি নেতার কথাও। আর তখনই তাঁকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে বাইডেন তাঁর নামোল্লেখ করতে গিয়ে বলেন রশিদ সানুক! স্বাভাবিক ভাবেই এমন ভুল নিয়ে শুরু হয়ে যায় আলোচনা। অনেকেরই মনে পড়ে ভারত সফরে এসে সেই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম স্বামী বিবেকানন্দ, শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলির নামের কেমন বিকৃত উচ্চারণ করেছিলেন। কীভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর নাম ভুল করতে পারেন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির পদে শপথ খাড়গের, তবু অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস গান্ধীদের ঘিরেই]
আসলে সাম্প্রতিক অতীতে এই ধরনের কাণ্ড আরও করেছেন বাইডেন। গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জ্যাকি ওয়ালরস্কি নামের এক সেনেটরের খোঁজ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেও অনুষ্ঠানের প্রায় মাস দুয়েক আগেই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন জ্যাকি। কিন্তু অনুষ্ঠানে গিয়ে বাইডেন বলেন, “জ্যাকি, তুমি কী এখানে আছ? কোথায় জ্যাকি? আমি তো ভেবেছিলাম ও এখানে থাকবে।” অথচ জ্যাকি মারা যাওয়ার পরে শোকপ্রকাশও করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তারপরও তিনি তা সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে জ্যাকির খোঁজ করে বসেন অনুষ্ঠানে। তারও আগে সৌদি সফরে গিয়ে হলোকাস্ট অর্থাৎ ইহুদিদের উপরে নাৎসিদের গণহত্যাকে ‘সম্মাননীয়’ বলেছিলেন বাইডেন। একই সঙ্গে মার্কিন সেনাকে ‘স্বার্থপর’ও বলে ফেলেন ভুল করে।
আগেই বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যায় ভুগছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের তরফে জানানো হয়, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বাইডেন। কিন্তু বাইডেনের নিয়মিত অসংলগ্ন কথায় গুঞ্জন ফের উসকে উঠছে। যাকে ঘিরে মার্কিন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, আর কতদিন তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে রাখা যাবে? আগামী নভেম্বর মাসেই আশি বছর পূর্ণ হবে বাইডেনের। বয়সের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ছে তাঁর। তা সত্বেও ২০২৪ সালের আগামী নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। কিন্তু তাঁর দল ডেমোক্র্যাট কি আদৌ সেই প্রস্তাবে রাজি হবে? টানাপোড়েন বাড়ছে শাসক দলের মধ্যেই। তার মধ্যেই বাইডেনের বেফাঁস মন্তব্য দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।