সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বদলা চাই। কোনওভাবেই অপরাধীদের ক্ষমা করব না।' কাবুলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মার্কিন সেনা-নাগরিকের মৃত্যুর পরই গর্জে উঠলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US presiden Joe Biden)। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী বা ISIS-কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, "কোনও ক্ষমা নেই। যেখানেই থাকুক এক-একজন অপরাধীকে খুঁজে খুঁজে মারব।"
বৃহস্পতিবার রাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল (Kabul)। মূলত বিমানবন্দরে চত্বরে জোরালো বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় তালিবান (Taliban Terror) অধিকৃত আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিক জড়ো হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। আফগান নাগরিকদের নিয়ে মার্কিন বিমান ওড়ার আগেই পরপর বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা (US Troop) জওয়ান রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল বিমানবন্দর, মৃত অন্তত ৫০]
হামলার দায় স্বীকার করে আইসিস (ISIS) জানিয়েছে, যেসমস্ত দোভাষী এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা মার্কিন বাহিনীকে সাহায্য করছেন, হামলার লক্ষ্য ছিল তাঁরাই। এদিকে আমেরিকার তরফেও ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য আইসিসের দিকে আঙুল তুলেছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই মার্কিন বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা। দশ বছর আগে আফগানভূমে (Afghanistan) গুলি করে সেনা হেলিকপ্টার নামানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২০ মার্কিন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসার পরই আমেরিকার কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত হয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেনা আধিকারিক ও অন্যান্য সরকারি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সারেন তিনি। তার পরই সাফ জানান, "সন্ত্রাসবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না আমেরিকা। অসহায় আফগান নাগরিক ও আফগানিস্তানে আটকে পড়ে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারকার্য চলবে। তালিবানের দেওয়া ডেডলাইন ৩১ আগস্ট আসতে এখনও সময় রয়েছে। তার আগে অবধি কোনও শক্তিই এই উদ্ধারকার্য বন্ধ করতে পারবে না।"
[আরও পড়ুন: Bangladesh: দিন শেষ ইয়াবার! এবার মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে ভয়ংকর মাদক ‘আইস’]
এরপরই আইসিসকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, "যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। কিংবা যারা আমেরিকার অনিষ্ট চাইছে, কাউকে রেয়াত করা হবে না। খুঁজে খুঁজে মারব তাদের। এর মূল্য চোকাতেই হবে।" মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই হামলার পিছনে তালিব-আইসিসের গোপন আঁতাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন বাইডেন।