সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০১ সালে গোটা বিশ্ব শিউরে উঠেছিল ৯/১১-র সাক্ষী হয়ে। সেই সময়ই গ্রাউন্ড জিরোয় দাঁড়িয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ''আপনারা শুনে নিন। গোটা বিশ্ব শুনতে পাবে। যারা এই স্থানটির এমন অবস্থা করল তারা শিগগিরি আমাদের পদধ্বনি শুনতে পাবে।'' এর পরই আফগানভূমে হাজির হয়েছিল 'অদৃশ্য' ঘাতক। মার্কিন যে বোমারু বিমানের আগমন রাডারও টের পায় না! সেই বি-২ স্টিলথ বম্বারই এবার আমেরিকার ভরসা হাউথিদের শায়েস্তা করতে।
ইতিমধ্যেই ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের হাউথি ঘাঁটিতে এই বোমারু বিমান দিয়েই হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। ফলে নতুন করে চর্চায় আমেরিকার এই 'ব্রহ্মাস্ত্র'। ১৯৯৭ সাল থেকে ময়দানে আবির্ভূত হয়েছিল বি-২ স্পিরিট। যার সর্বোচ্চ গতি হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা। দুজনকে চালককে নিয়ে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে এই মার্কিন বোমারু বিমান। খালি অবস্থায় যার ওজন ৭১ হাজার ৭০০ কেজি। এই বিমানের ক্ষমতা এমনই যে একলপ্তে ১৬টি আণবিক বোমা বইতে পারে। পাশাপাশি ৮০টি ৫০০ পাউন্ডের জিপিএস গাইডেড বোমাও বইতে পারে। বহন করতে পারে ৩৬টি ৭৫০ পাউন্ডের সিবিইউ ক্লাস বোমা। দুটি জিবিইউ-৫৭ বোমাও বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম এই বিমান।
বলা হয়, রুশদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের কথা মাথায় রেখেই এই বিমানের পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা। এমনকী যারা যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামাতে পারে সেখানেও অনায়াসে হামলা চালাতে সক্ষম এই বিমানটি। কেননা এতে রয়েছে সাবসনিক ফ্লায়িং উইং।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের মাঝে প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়ে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে সন্ত্রাস শুরু করে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হাউথি। গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হামলা তীব্র করেছে হাউথিরা। এবার তাদের পালটা দিতে শুরু করেছে আমেরিকা। আর তাতে তাদের বড় ভরসা বি-২ স্টিলথ বম্বার।