সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বাবার কাছে দুটো জিনিস প্রায়োরিটি ছিল এক পার্টি আর দুই আমি…” বাবা বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর (Shyamal Chakraborty) প্রয়াণের পর এমনটাই মন্তব্য শোকবিহ্বল উষসী চক্রবর্তীর (Ushasie Chakraborty)।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের একসময়কার ডাকসাইটে নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসে। তাঁর চলে যাওয়ার সঙ্গেই যে বাম আমলের এক অধ্যায়ের অবসান ঘটল, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাবাকে নিয়ে ভীষণই পজিটিভ ছিলেন উষসী। তাই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতেই ভেঙে পড়েননি। বরং মনে জোর রেখে বাবাকে বলেছেন, “ফাইট বাবা ফাইট! আমি জানি তুমি যুদ্ধে জিতেই ফিরবে।” দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বাবা-মায়ের পুরনো ছবি শেয়ার করে শৈশবের স্মৃতিতে ভেসেছেন। শ্যামল চক্রবর্তীর দেখাশোনার জন্য করোনাজয়ী সহৃদয় ব্যক্তিও খুঁজেছিলেন। পিপিই কিট-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে রাজি ছিলেন, কিন্তু এগিয়ে আসেননি কেউই। যে নেতা মানুষের দুঃখকষ্টে চোখের জল মুছিয়েছেন, তিনি যে আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবেনই, এমনটাই আশা করেছিলেন মেয়ে অভিনেত্রী উষসী। কিন্তু তা আর হল কোথায়! শেষ রক্ষা আর হল না। বাবা আর ফিরলেন না বাড়িতে।
[আরও পড়ুন: সুশান্তের মতোই আত্মহত্যা আরও এক অভিনেতার! মুম্বইয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার সমীর শর্মার]
শোকবিহ্বল উষসীর মন্তব্য, “আমার তো মা ছিল না। আমাকে বাবাই মানুষ করেছেন। লেখাপড়া শিখিয়েছেন। ব্যস্ততার মধ্যেও উনি আমাকে অনেকটাই সময় দিয়েছেন সারাজীবন। সব কিছুর বাইরে গিয়ে দলের কাজটাই ওঁর কাছে বরাবর প্রাধান্য পেয়ে এসেছে। পার্টির পর প্রায়োরিটি ছিলাম আমি। কখনও নিজের সিদ্ধান্ত আমার উপর চাপিয়ে দেননি। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যেরকম জীবনযাপন করা উচিত, সেটাই করতেন উনি। আর তার জন্যেই রাজনৈতিকমহলে এক দৃষ্টান্ত হিসেবে থেকে যাবেন বাবা। দুর্নীতিমুক্ত একজন ব্যক্তি। সারাটা জীবন পার্টিকে দিয়ে দেওয়া যায়, এরকমই এক উদাহরণ তৈরি করেছিলেন।”
উল্লেখ্য, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ-সহ আরও অনেকেই শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রীর প্রয়াণে।
[আরও পড়ুন: স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি, লিলুয়ার বেহাল দশা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ইমন]
The post ‘দল আর আমিই ছিলাম বাবার প্রায়োরিটি’, শ্যামল চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মেয়ে উষসী appeared first on Sangbad Pratidin.