শংকর রায়, রায়গঞ্জ: আরও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রকাশ্যে কুকীর্তি। ফের উঠল শ্লীলতাহানি অভিযোগ। সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা। নির্যাতনের শিকার এবার উত্তরদিনাজপুরের(Uttar Dinajpur) প্রভাবশালীর নেতার স্ত্রী ও তাঁর নাবালিকা কন্যা। আর জি কর কাণ্ডে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। এবার সামনে এল জেলার এক সিভিকের 'দুঃসাহস'। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ সালে ইসলামপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার পদে যোগ দেন শেখ নাজবুল হক। গত দশদিন আগে স্থানীয় সুজালি এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার স্ত্রী ও তাঁর নাবালিকা কন্যাকে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: চোর ধরতে বাগানে বিদ্যুতের তার লাগানোই কাল! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের ৩ জনের]
এমনকি ওই মহিলার সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার হুমকি দেখিয়ে দফায় দফায় কয়েক লক্ষ টাকাও প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ ওই সিভিকের বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সিভিককে কয়েকদিন নিজের সুজালি গ্রামে দেখা যায়নি। শেষমেশ সোমবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ কেন এখন থানায় অভিযোগ করা হল,সেইসব পূঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে তদন্তকারী পুলিশ সূত্রে জানানো হয়।
মঙ্গলবার ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন,"সোমবার রাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন এক মহিলা। তাঁর নাবালিকা কন্যাকেও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সিভিককে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।" আদালতে পেশ করা হলে ধৃতের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ইসলামপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী মোক্তার আহমেদ বলেন," শ্লীলতাহানি ও ভয় দেখিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগে ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশের তরফে ইসলামপুর মহকুমার বিশেষ আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।"