সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংসতার সাক্ষী যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চারজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বেধড়ক মারধরও করা হয় তাঁকে। যার জেরে গর্ভপাত হয় মহিলার।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দেওবন্দ থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারিণী জানান, চলতি বছর জানুয়ারি একদিন বাড়িতে একা ছিলেন তিনি। সেই সময় এক যুবক জোর করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁর ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, গোটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলে অভিযুক্ত। মহিলাকে হুমকি দেওয়া হয়, কারও কাছে এ নিয়ে মুখ খুললেই নির্যাতিতার মা-বাবাকে প্রাণে মেরে দেবে সে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে।
[আরও পড়ুন: পয়গম্বর বিতর্কে বাংলাদেশে হিন্দু শিক্ষকের গলায় জুতোর মালা, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ আওয়ামি লিগের]
এমন হুমকিতে ভয় পেয়ে যান নির্যাতিতা। কিন্তু নির্যাতন এখানেই থেমে থাকেনি। ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এর পর থেকে লাগাতার তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ চালায় ওই যুবক বলে অভিযোগ। আতঙ্কের আরও পর্ব যে বাকি ছিল, তা নির্যাতিতা টের পার আরও কিছুদিন পরে। মহিলাকে ধরে-বেঁধে দেওবন্দের এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। সেখানে উপস্থিত ছিল যুবকের আরও তিন বন্ধু। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে। অভিযোগ, সেখানেই মহিলা গণধর্ষিতা (Gangrape) হন।
পুলিশ সুপারিনট্যান্ড (গ্রামীণ) সুরজ রাইকে অভিযোগকারিণী জানান, লাগাতার ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তা জানতে পেরে তাঁকে খুনের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। কিন্তু গত ২৫ জুন কোনওক্রমে অভিযুক্তদের বেড়াজাল ছিঁড়ে বাড়ি ফেরেন মহিলা। তবে তাতেও রক্ষা পাননি। পরের দিনই অর্থাৎ ২৬ জুন নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে পরে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে চার অভিযুক্ত। বেধড়ক মার খাওয়ার জেরে গর্ভপাত হয় তাঁর। সেই কারণেই অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মহিলাকে ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। তবে এমন ঘটনায় ফের উত্তরপ্রদেশে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।