সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) টিকিট পাননি। তাই সাংসদ হিসাবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের জন্য খোলা চিঠি লিখলেন বরুণ গান্ধী। বিদায়ী সাংসদের কথায়, জনপ্রতিনিধি না হলেও পুত্র হিসাবে পিলিভিটের মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করবেন তিনি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পিলিভিট থেকে বরুণের পরিবর্তে জীতিন প্রসাদকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে প্রার্থী ঘোষণার আগেই জল্পনা ছিল, বরুণ বাদ পড়ছেনই। বিজেপির সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। যার জেরে গান্ধী পরিবারের এই সদস্যের উপর খুব একটা সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। তাই বরুণদের ‘গড়’ পিলিভিট থেকে তাঁকে সরিয়ে কার্যত শাস্তি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও খোলা চিঠিতে বরুণ জানিয়েছেন, সাংসদ হিসাবে মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও পিলিভিটের মানুষের সঙ্গে তাঁর আমৃত্যু সম্পর্ক থাকবে।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ে শক্তিবৃদ্ধি ইন্ডিয়া জোটের, ভূমিপুত্রদের ‘অধিকার নিশ্চিত’ করতে ‘হাত’ ধরলেন অজয় এডওয়ার্ড]
মাত্র তিন বছর বয়সে প্রথমবার মায়ের হাত ধরে পিলিভিটে পা রেখেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বরুণ বলেন, “সেদিন কী করে জানব যে এই জায়গাটা আমার কর্মক্ষেত্র আর এখানকার মানুষ আমার পরিবার হয়ে যাবে? পিলিভিটের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা রাজনীতির উর্ধ্বে। ব্যক্তি হিসাবে আমার উন্নতিতেও অনেক অবদান রয়েছে পিলিভিটের মানুষের। তাঁদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।”
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) পিলিভিটে ‘গান্ধী যুগ’ শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। সেবার ওই কেন্দ্রে জেতেন বরুণের মা মানেকা গান্ধী। টানা ছটি লোকসভা নির্বাচনে জেতেন তিনি। তার মধ্যে পরপর দুবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয় পান। ২০১৯ সালে পিলিভিট থেকে নির্বাচিত হন বরুণ গান্ধী। কিন্তু এবার আর বরুণকে টিকিট দিল না বিজেপি। তাহলে কি নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়বেন? নাকি যোগ দেবেন কংগ্রেসে? বিদায়ী সাংসদকে ঘিরে এমনই হাজারো প্রশ্নের ভিড়। জল্পনার মধ্যেই নিজের কেন্দ্রের জনতার পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বরুণ গান্ধী।