সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলকোট মামলায় শেষ শুনানি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই মামলায় রায় দেবে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। মামলায় নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। ইতিমধ্যে এই মামলায় আসানসোল থেকে বিধাননগরে এসে আদালতে রায়ও দিয়েছেন গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে থাকা তৃণমূল নেতা। কী রয়েছে অনুব্রতর ভাগ্যে, সেদিকেই এখন নজর সকলের।
গত ২০১০ সালের ৫ মার্চ মঙ্গলকোটের লাখুরিয়ার মল্লিকপুর গ্রামে বিস্ফোরণ হয়। তাতে কেবুলাল শেখ নামে এক ব্যক্তি জখম হন। এই ঘটনায় চার্জশিট দেয় মঙ্গলকোট থানা। তাতেই অনুব্রত মণ্ডল, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ-সহ ১৫ জনের নাম ছিল। এই মামলাতেই গত বৃহস্পতিবার বি এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় অনুব্রতকে। সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বেরন অনুব্রত মণ্ডল। প্রিজন ভ্যানের পরিবর্তে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে চড়ে কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। আদালত থেকে বেরনোর সময় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কথা বলেন অনুব্রত। বলেন, “ব্যাপক হবে।”
[আরও পড়ুন: TET দুর্নীতি মামলা: তদন্ত করবে সিবিআই-ই, রাজ্যের আবেদন খারিজ করে রায় হাই কোর্টের]
বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন দাপুটে তৃণমূল নেতা। শুক্রবারও এই মামলার শুনানি হয়। তবে ওইদিন আর সশরীরে অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়নি। শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মামলার রায়দান করবে বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালত। ওইদিন আসানসোল থেকে ফের কলকাতায় আনা হবে কিনা অনুব্রতকে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কারণ, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই অনুব্রতর ভারচুয়াল শুনানির দাবি জানানো হয়েছে। এই মর্মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন জেল সুপার। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফের অনুব্রতকে আদালতে হাজিরার দিন। ওইদিন সম্ভবত ভারচুয়ালি শুনানিতে অংশ নেবেন অনুব্রত। ওইদিন জামিন পান নাকি জেল হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়বে অনুব্রতর, তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।