সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কের (Hijab Row) মাঝেই ভাইরাল নয়া ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, কর্ণাটকে স্কুলের মধ্যে নমাজ পড়ছে পড়ুয়ারা। দু’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। যা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে।
ঘটনাটি ৪ ফেব্রুয়ারির। কর্ণাটকের কাদাবা তালুকের দক্ষিণ জেলা আনকাত্থদা গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, সেই গ্রামের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ারা ক্লাসরুমের মধ্যে শুক্রবারের নমাজ পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছুটে যায় সেই স্কুলে। ব্লক শিক্ষা আধিকারিক সি লোকেশ বলেন, “ঘটনা জানতে পারার পরই আমি ক্লাস্টার রিসোর্স পার্সনকে স্কুলে যেতে নির্দেশ দিয়েছি। ঘটনা সম্পর্কে জেনে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে চোরাই পথে কলকাতায় ঢুকছে সোনা! উদ্ধার বরানগরের দোকান থেকে]
উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের বলা হয়েছে স্কুলের ভিতরে কোনওরকম ধর্মীয় আচার-আচরণ করা যাবে না। বহু পড়ুয়ার অভিভাবক স্কুলে এসেছিলেন। তাঁদের দাবি, স্কুলে কোনও ধর্মাচারণ করা চলবে না। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক সারা দেশেই মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেক দিন ধরেই এই বিতর্ক চলছিল। তা নতুন মাত্রা পায় কয়েক দিন আগে। সেরাজ্যের BJP সরকার জানিয়ে দেয়, যে সব পোশাক সমতা, অখণ্ডতা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থী, তা পরা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশ ঘিরে নতুন করে বিতর্কের পারদ চড়তে থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘ইউক্রেন দখল করতে চাইলে চরম মূল্য দিতে হবে’, পুতিনকে সরাসরি হুমকি বাইডেনের]
এই বিতর্ক বড় আকার নেয় উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদী যুবকদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান তোলা কর্ণাটকের (Karnataka) এক মুসলিম তরুণীর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে। হিজাব ইস্যুতে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে।