সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেডলাইনের আগেই আফগানিস্তান (Afghanistan) ত্যাগ করল মার্কিন সেনা। আর মার্কিন সেনার শেষ বিমান উড়ে যেতেই কাবুল বিমানবন্দরও নিজেদের দখলে নিল তালিবানরা। শুধু দখলে নেওয়া নয়, শূন্যে গুলি ছুঁড়ে, রকেট উৎক্ষেপণ করে আনন্দ করতেও দেখা যায় তাদের। তবে এসবের মধ্যেই আরও একবার সামনে এল তালিবানের নৃশংস আচরণ। মার্কিন UH-60 Black Hawk হেলিকপ্টারের সঙ্গে একজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে কান্দাহারের আকাশে ওড়াল তালিবরা। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। হাড়হিম করা সেই ভিডিওই এবার ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ফের প্রমাণ করল একটুও বদলায়নি তালিবান।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ হিসেবে দেখছে তালিবান। রাতেই আতসবাজি পুড়িয়ে উল্লাসে মেতেছে তালিবান। তাদের বক্তব্য, ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানকে রক্তাক্ত করার পর অবশেষে ফিরে গিয়েছে মার্কিন সৈন্যরা। অন্যদিকে, মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ আফগানবাসীর সাহায্যের জন্য সবসময় প্রস্তুত আমেরিকা। তবে তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। তাই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলেও, মানবিকতার স্বার্থে পাশে থাকছে বাইডেন প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়ার আগে একাধিক অস্ত্রশস্ত্র নষ্টও করে দেওয়া হয়েছে। যদিও একাধিক ছবি বা ভিডিওতে তালিব জঙ্গিদের হাতে মার্কিন অস্ত্র বা আমেরিকার যুদ্ধের সাঁজোয়া গাড়ি দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডেডলাইনের আগেই Afghanistan ছাড়ল মার্কিন সেনা, ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেখছে Taliban]
এই পরিস্থিতিতে তালিবানরাও অবশ্য জানিয়েছে, আগামিদিনে আমেরিকা-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে তালিবানরা। এই প্রসঙ্গে বিবৃতিও দিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। কাবুল বিমানবন্দর থেকেই তাদের বার্তা, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে চায় তালিবরা। এদিকে, মার্কিন সেনা সরতেই আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আবার উদ্যোগী হয়েছে রাশিয়া এবং চিনও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তবে মুখে যাই বলুক না কেন, তালিবান (Taliban) যে আগের মতোই রয়েছে, সেকথা ফের প্রমাণ হয়েছে কান্দাহারের ঘটনায়। তবে সেই সঙ্গে একাধিক শহরে পোস্টারও পড়েছে। মার্কিন সেনা বা আফগান সেনাকে একসময়ে সাহায্যকারীদের বাড়িতে ওই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। যাতে লেখা, ‘আত্মসমর্পণ কর, নাহলে মরো।’