সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালিতে হিংসা নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর কথায়, হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তবে, হিংসার বিরোধিতা করলেও কৃষকদের দাবিকে যে তিনি সমর্থন করেন, সেকথা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, সরকারকে তিনটি ‘কালা কানুন’ প্রত্যাহার করতেই হবে।
সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের কর্মসূচির (Farmers Protest) শুরুটা হয়েছিল শান্তিপূর্ণ ট্রাক্টর র্যালি দিয়ে। পরিকল্পনা ছিল, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে সরকার তথা বিশ্ববাসীকে বার্তা দেওয়া। কিন্তু কৃষকদের সেই ‘অহিংস’ মিছিল অপ্রত্যাশিতভাবে হিংসাত্মক রূপ নেয়। ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলার মতো ঘটনা তো ছিলই, শেষে যোগ হল লালকেল্লার দখল নেওয়ার মতো কাণ্ড। সাধারণতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভকারীরা লালকেল্লায় তেরঙ্গার পরিবর্তে নিশান সাহিবের পতাকা ওড়ালেন। অনেকে মনে করছেন, লালকেল্লায় যেভাবে অন্য পতাকা ওড়ানো হল, সেটা জাতীয় পতাকার অবমাননার শামিল। স্বাভাবিকভাবেই, কৃষকদের র্যালি ঘিরে যে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হল, তা থেকে দূরত্ব বাড়ানো শুরু করল রাজনৈতিক দলগুলি। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটে বলে দিলেন, হিংসা কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তাঁর কথায়,”যার উপরই আঘাত করা হোক না কেন, হিংসা কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। এতে এই দেশই ভুগবে। তাই দেশের স্বার্থে কৃষক বিরোধী আইনগুলি (Farmers Protest) প্রত্যাহার করা উচিত।” রাহুল একা নন, তাঁর দলের সাংসদ শশী থারুরও এই ঘটনার বিরোধিতা করেছেন। থারুর টুইট করে বললেন, এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। শৃঙ্খলাহীন এই আন্দলন মেনে নিতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভের নামে লালকেল্লায় যারা নিশান সাহিবের পতাকা উত্তোলন করেছেন, তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিক্ষোভকারী কৃষকদের অন্যতম সংগঠন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নও। BKU নেতা রাকেশ টিকটেতের দাবি, যারা বিক্ষোভে হিংসা ছড়াচ্ছে, তারা আসলে রাজনৈতিক দলের সদস্য। তাদের আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের বিক্ষোভকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।