ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখলেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) অসিত মাল। কেরলের সাংসদের পর এটি উপাচার্যের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোনও সংসদের চিঠি। সোমবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে (Dharmendra Pradhan) চিঠি দিয়েছেন সাংসদ। চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় এখন অসহনীয় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর খ্যাতি এবং মহিমাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই নতুন নয়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছে নানা মহল। শিক্ষা জগতের রাজনীতিকরণের চেষ্টার অভিযোগ ছাড়াও রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এর পাশাপাশি যে সব কর্মী, অধ্যাপক তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। এমনকী কর্মী, অধ্যাপক এবং পেনশনারদের বেতন এবং পেনশন বন্ধ করে তাঁদের সমস্যা এবং উদ্বেগে ফেলা হয়েছে। চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। উপাচার্য তাঁর ঔদ্ধত্য, আধিপত্য বজায় রাখার জন্য বিশ্বভারতীতে আতঙ্কের পরিবেশ হয়েছে। এমনই হাজারও অভিযোগ তুলে অসিত মালের আবেদন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
[আরও পডুন: ‘দাবাং’ মেজাজে ইনসাস রাইফেল হাতে নিয়ে ছবি, তুমুল সমালোচিত বর্ধমান স্কুলের শিক্ষক]
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদের টি.এন.প্রথাপণ। তিনি কেরলের (Kerala) ত্রিচুরের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১২ দফা আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠনের আবেদন করে ছিলেন এবং পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। একইভাবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্বভারতী অধ্যাপক সংগঠনের VBUFA-সহ অধ্যাপক এবং কর্মীরা। এই বিষয়ে বিশ্বভারতী মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।