নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ফের একবার বিশ্বভারতীর উপাচার্যের নিশানায় আশ্রমিকরা। বুধবার শান্তিনিকেতনের উপাসনা মন্দির থেকে নাম না করে আশ্রমিকদের ‘বুড়ো খোকা, ভারসাম্যহীন ব্যক্তি’ বলে খোঁচা দিলেন বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। তাঁরা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করছে বলেও দাবি করেছেন উপাচার্য।
এই প্রথমবার নয়, এর আগে একাধিক ইস্যুতে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের লাগামছাড়া আক্রমণ করেছেন উপাচার্য। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ‘বুড়ো খোকা, ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, অর্ধশিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত’। উল্লেখ্য, প্রতি বুধবার শান্তিনিকেতনে উপাসনা মন্দিরে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য। এদিন সেখানেই বক্তব্য রাখার আগে কিছু প্রস্তাবনা বলে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই বিস্ফোরক কথাগুলি বলেন। নাম না করে বয়োজ্যেষ্ঠ কিছু আশ্রমিককে কটাক্ষ করেন।
[আরও পড়ুন: ‘সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন’, BBC’র পাশে দাঁড়িয়ে ভারতকে বার্তা ব্রিটেনের]
এদিন উপাসনা মন্দিরে ঢুকে উপাচার্য দাবি করেন, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক নানা নামে তাঁরা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করে চলেছেন। তাঁদের শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি দাবি করেন, “এরা নিজেদের পরিচিতি পাওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে বিশ্বভারতীকে কলুষিত করছেন। এদের অনেকেই অল্পশিক্ষিত, অশিক্ষিত। বুড়ো খোকারা বিশ্বভারতীতে একটা মৌরসী পাট্টা গড়ে তোলার মতলব করেছে।”
বিশ্বভারতীর উপাসনা মন্দিরে বসে সাধারণত প্রাক্তনী, আশ্রমিক এবং রাবীন্দ্রিকরা নানা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। অথচ সেই উপাসনা মন্দিরে বসেই আগেও তাঁদের তুলোধনা করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বলেছিলেন, প্রাক্তনী, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিকরা ভোগবাদী। বিশ্বভারতীতে সবাই নিজের নিজের আখেড় গোছাতে আছে। কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। ২০১৯ সালে আমি প্রাক্তনী, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিকদের বিশ্বভারতীর উন্নয়নে এগিয়ে আসতে বলেছিলাম। তাঁদের কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।”
উপাচার্যের লাগাতার বেলাগাম মন্তব্যের বিরুদ্ধে বুধবার সবুজকলি সেন-সহ প্রায় ২৫০ জন আশ্রমিক ও প্রাক্তনী শান্তিনিকেতন ট্রাস্টে প্রতিবাদপত্র জমা করেন। তাঁদের দাবি, “উপাসনাগৃহকে কলুষিত হতে দিতে পারি না। এখানে যাতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য প্রকাশ না করা হয়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”