সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলন মাস্ক থেকে শুরু করে মার্কিন আমজনতার একটা বড় অংশ- সকলের মনেই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিবেক রামস্বামীর (Vivek Ramaswamy) প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। কিন্তু ৩৮ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবক এবার বিতর্কে জড়ালেন চিন, টিকটক ও ইউক্রেন নিয়ে মন্তব্য করে।
দ্বিতীয় রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন বিবেক। সব মিলিয়ে ৭ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওই বিতর্কে যোগ দেন। আর সেখানেই বিবেকের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে। সম্প্রতি তিনি টিকটকে যোগ দিয়েছেন। মার্কিন মুলুকের বহু জায়গায় চিনা অ্যাপটি নিষিদ্ধ। তাহলে কেন বিবেক টিকটকে? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” নির্বাচনে জিততে তরুণ মার্কিনীদের আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে এটা কাজে লাগবে।” অনূর্ধ্ব ১৬ কিশোর-কিশোরীদের যে সমাজমাধ্যমের ‘নেশা’ থাকা উচিত নয়, একথা মেনে নিয়েও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে টিকটকের মতো ‘টুল’কেই যে তিনি বেছে নিতে চান তা সাফ জানাচ্ছেন বিবেক। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”এর ফলে আমরা চিনের থেকেই স্বাধীনতা পাব, যা আমি চাই। যদি সত্যি আমরাই জিতি।”
[আরও পড়ুন: প্রয়াত ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক এম এস স্বামীনাথন]
তাঁর কথার তীব্র প্রতিবাদ করেন আর এক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, ”এটা বিরক্তিকর। কেননা টিকটক অন্যতম বিপজ্জনক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। আর সত্যি বলতে কী, যখনই আপনার কথা শুনি নিজেকে যেন কিছুটা বোকা বলে মনে হয়। টিকটকে ১৫ কোটি মানুষ রয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা সকলেই আপনার কনট্যাক্টস, আপনার আর্থিক তথ্য, ইমেল পেয়ে যাবে। আপনার টেক্সট মেসেজ পেয়ে যাবে। সব পেয়ে যাবে। চিন জানে ওরা কী করছে।”
এখানেই শেষ নয়। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গেও মুখ খুলে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন বিবেক। তাঁর কথায়, ”পুতিন শয়তান একনায়ক, এর অর্থ এই নয় যে ইউক্রেন ভালো। ওরা একটা এমন দেশ, যারা ১১টি দলকে নিষিদ্ধ করেছে।” ইউক্রেনকে মার্কিন সাহায্যের ক্ষেত্রেও কাটছাঁট করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন বিবেক। এদিকে যাঁর সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল, সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিতর্কের মুখে পড়েছেন এদিন মঞ্চে উপস্থিত না থেকে।