সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলোতে। তার জেরেই ফুঁসছে তিস্তা। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার জারি হল বিশেষ সতর্কতা। সিকিমের পকিয়ং জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিকিমে (Sikkim) ক্রমশ তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির জন্য সতর্কতা জারি করেছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লিউসি)। পকিয়ংয়ের বাসিন্দাদের নদী থেকে দূরে নিরাপদ এলাকায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাজিগাঁও রংপোতে মাইকে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর মো সঙ্গম মৌসুমের অংশ হিসেবে ৩০ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে নোটিশ জারি করেছে। ধস নেমে পকিয়ং জেলায় পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ওঁরা কথা রাখে’, হ্যাম রেডিওর সাহায্যে ঘরে ফিরছে বাংলাদেশের মেয়ে]
উল্লেখ্য, গত বছর হড়পা বানে বিধ্বস্ত তিস্তা (Teesta) সামান্য বৃষ্টির জল বহনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় উত্তর সিকিমে বিপদ গর্জেছে। সেখানে সামান্য বৃষ্টির জেরে পলিতে ঢেকে থাকা তিস্তা ফুঁসে উঠে ভেসেছে সেতু। বেড়েছে আতঙ্ক। ভারী বৃষ্টি হলে এবার কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে সেটাই উদ্বেগের কারণ হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর ও সিকিম প্রশাসনের। বুধবার সিকিম প্রশাসনের কর্তারা নদী এলাকা পরিদর্শন করেন। তার পরেই আমজনতার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।
ইতিমধ্যেই তিস্তা ফুঁসে ওঠায় প্রশাসনের তরফে লাচেন, চুংথাং এবং মঙ্গন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। মঙ্গলবার নামচি জেলা কালেক্টর অন্নপূর্ণা আলি তিস্তা নদী সংলগ্ন মেল্লি এলাকা ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মনিকা রাই, জলসম্পদ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার-সহ আরও অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর উথাল-পাতাল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিরাপত্তার দাবি জানান। এহেন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা, আগামী তিনদিন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ। এই সময় দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।