সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির সদস্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে মধ্যরাত পর্যন্ত থানার সামনে ধরনা দেন তৃণমূল কর্মীরা। শেষপর্যন্ত দ্রুত গ্রেপ্তারির আশ্বাসে ঘেরাও মুক্ত হয় থানা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাড়োয়ার মহিষটিগারি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলবার রাতে। বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মী আখতার আলির পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি বলতে না চাইলে আখতার আলিকে লাঠি, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসতেই পালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই তৃণমূল কর্মী।
[আরও পড়ুন : দিনেদুপুরে গুলিতে মৃত্যু যুবকের, মমতার সভার দিনই উত্তপ্ত কোচবিহার]
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে থানা ঘেরাও করে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ঘেরাও। দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে ঘেরাও তুলে নেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেই এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতকে আজই আদালতে তোলা হবে বলে খবর। তৃণমূলের তরফে বিজেপির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত নানুরের সিঙ্গি গ্রাম। রাতভর বোমাবাজি চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল সর্মথক জখম হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে সিঙ্গি গ্রামে পতাকা লাগাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল সর্মথক শেখ করিম। সেই সময় একে অপরকে কটুক্তি করে এবং অশান্তি শুরু হয়। করিম জখম হন।
[আরও পড়ুন : ‘সিপিএম ‘স্বৈরাচারী’, মুখ ফসকে এ কী বললেন অধীর!]
ঘটনা প্রসঙ্গে করিম বলেন, “গ্রামের মধ্যে বিজেপির কিছু সর্মথক বসেছিল। ওরা আমাকে কটুক্তি করে। প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করা হয়। আমার বাবা তৃণমূল করে তাই আমাকে মারধর করা হয়েছে।” বিজেপি কর্মী অচিন্ত্য সরকার অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের নেতার মানুষকে বোঝাচ্ছে বিজেপি এলে সংখ্যালঘুদের তাড়িয়ে দেবে। তাই মঙ্গবার রাতে হঠাৎ করে তৃণমূলের লোকজন আমাদের আক্রমণ করে।বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে আমদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। সারারাত আমরা বাড়ির বাইরে ছিলাম। পুলিশের সামনে ওরা বোমাবাজি করে।”