shono
Advertisement

Breaking News

WB By-Election: ‘ভবানীপুর থেকে ভারতবর্ষ শুরু’, চক্রবেড়িয়ার সভা থেকে ‘দিল্লি’র ডাক মমতার

সভার আগে জৈন মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে গুরুদের আশীর্বাদ নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Posted: 05:46 PM Sep 23, 2021Updated: 07:01 PM Sep 23, 2021

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্য়ায়: হাতে মাত্র সপ্তাহখানেক। রাজ্যের হাইভোল্টেজ ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রে উপনির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। তাই চলতি সপ্তাহে টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ায় তিনি একটি প্রচারসভায় যোগ দেন। তার আগে জৈন মন্দিরে পুজো দেন, জৈন গুরুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপর চক্রবেড়িয়ার সভায় গিয়ে তিনি বিজেপির উদ্দেশে বলেন, ”ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। এই ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু। ভবানীপুর থেকেই বাংলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ দেখবে।”

Advertisement

ভবানীপুর (Bhabanipur) তাঁর চেনা মাটি। জয়ের ব্যবধানে রেকর্ড গড়াই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তাই তিনি প্রায় প্রতিদিনই জনসংযোগ করছেন। বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ার সভা থেকে জনতার কাছে ভোটের আবেদন জানাতে গিয়ে মমতা বললেন, ”এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হব। আর ভোটে জিতে বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা শোভনীয় হবে না। আমি ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়েছি। ২০১১ সালেও উপনির্বাচনে (By-election) এই কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০২১এও তাই। এটাই হয়ত হওয়ার ছিল।”

[আরও পড়ুন: WB By-Election: শুধুমাত্র ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন? কমিশনের হলফনামা চাইল হাই কোর্ট]

এরপরই বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় সরব হন মমতা। বলেন, ”আপনারা জানেন, নন্দীগ্রামে কীভাবে আমাকে ভোটে হারানো হয়েছিল। মনোনয়নের দিনই পা জখম করে দেওয়া হয়। আমি হুইলচেয়ারে বসেই সারা রাজ্য ঘুরেছি। ঠিকঠাক ভোট হলে, বিজেপি ৩০টির বেশি আসন পেত না। ওদের নেতারা তো রোজ দিল্লি থেকে যাতায়াত করেছেন। তাও কিছু হয়নি। ওরা বোধহয় ভাবতে পারেনি যে আমরা এত ভোটে জিতব। কিন্তু আমি ভাঙা পা নিয়েই এতগুলো আসন পেয়েছি।”

[আরও পড়ুন: নেটদুনিয়ায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মেসেজ ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]

মমতা আরও বলেন, ”৩০ তারিখ সরকারি ছুটি। বৃষ্টি হলেও ওই দিনটায় ভোট দিতে যান সকলে। আমার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোকের অভাব নেই। কিন্তু আপনারা যদি চান আমি থাকি, তাহলে সবাই মিলে ভোটটা দিন।”

এদিন চক্রবেড়িয়ার প্রচার সভার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান জৈন মন্দিরে। সেখানকার প্রথা মেনে তিনি পুজো দেন, আরতি করেন। তারপর জৈনগুরুদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের প্রণাম জানান, আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। জৈন মন্দিরে মমতার সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমার। এখানেই জৈন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে হাতে কিছু উপহার তুলে দেন। তাঁদের সঙ্গে সামান্য কথাবার্তা বলে মন্দির ছেড়ে সভায় যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement