সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বসিরহাটে বিশাল জয় পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, সন্দেশখালিতে যাবেন। কথা রাখলেন তিনি। সোমবার দুপুরে সন্দেশখালির মিশন মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভা। প্রায় ২০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সরকারি পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সন্দেশখালি। জেটিঘাটে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তিনি কী বার্তা দেন, আপাতত সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।
গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি সফরের কথা জানান। ওইদিন তিনি বলেন, “ভোটের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, দিদি সন্দেশখালি যাবেন না? বলেছিলাম পরে যাব। আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেব। আমি মঞ্চ থেকে ১০০ জনের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেব। তবে আলাদা আলাদা ক্যাম্প থেকে অন্তত ২০ হাজার মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সেদিন।”
বলে রাখা ভালো, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন-সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রভাব ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হবে বলেই ভেবেছিলেন বিরোধীরা। যদিও সন্দেশখালি কাণ্ড সেভাবে অক্সিজেন জোগাতে পারেনি বিরোধী বিজেপিকে। সন্দেশখালিতে ফোটে ঘাসফুল। বছর শেষে সেই সন্দেশখালিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।