জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ভোট (West Bengal Assembly Election) চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বাগদা। পালটা আক্রমণ করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে উর্দি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বাগদার বিজেপি প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর পর থেকেই বাগদা (Bagda) বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে আসে। সকালেই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি। পরে বিকেলে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাগদার রণঘাটে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি চালায় বলেও খবর। জখম হন কমপক্ষে ৭ জন। পালটা আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘আইনি পদক্ষেপ নেবই’, অশোকনগরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর অভিযোগে হুঁশিয়ারি মমতার]
অশান্তির খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যান বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর তৎপরতায় গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাঁর কথায়, “বাগদায় তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সেই কারণেই সকাল থেকেই রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে ওরা। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ১০ রাউন্ড গুলি চলেছে। কমপক্ষে ৭ জন জখম হয়েছে।” বিশ্বজিৎবাবু জানিয়েছেন, জখম বেশ কয়েকজন কর্মীর সন্ধান মিলছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয়রা। এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, বিজেপির ক্যাম্প অফিসের সামনে একটা দোকান ছিল। কোনও অশান্তি ছিল না। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।