সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে নয়া মোড়। শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিরিক্ত’ হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানালেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস বলেন, “বাইরে নয় প্রতিবাদ যা করার রাজভবনের ভিতরে এসে করতে পারেন”। হাসিমুখে হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একথা বলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
শিক্ষক দিবসে (Teachers’ Day) রাজ্যের গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুকে সামনে এনে আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রতি কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক ইস্যুতে রাজভবনের ‘অতি-সক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে আর্থিক বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এই যে মাঝেমধ্যে কেরল থেকে অতিথি এনে রাজভবনে চা খাওয়ান, সেই টাকাও আমরা দিই।” যদি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বেশি হস্তক্ষেপ করা হয়, তাহলে রাজভবনের সামনেই ধরনা করবেন বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথীতে রোগী ভরতি নিলে মিলবে হাসপাতাল নির্মাণে ছাড়, নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার]
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ফিরে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “যেকোনও ধরনের প্রতিবাদ স্বাগত। প্রতিবাদ যা করার রাজভবনের ভিতরে এসে করতে পারেন।” শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি ইস্যুতেও মুখ খোলেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রগুলি দুর্নীতির আখড়া হিসাবে চলতে পারে না। শিক্ষামাফিয়াকে শিক্ষা দিতে হবে। ক্যাম্পাসে থাকা নরখাদকদের রেহাই নেই। তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে।” উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজভবন সংঘাত নতুন নয়। একাধিক ইস্যুতে বারবারই রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতানৈক্য হয়েছে। জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) রাজ্যপাল থাকাকালীন এই সংঘাতে প্রায় প্রতিদিনই নয়া মোড় নিত। তবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বদলের পরও বলাই যায় ‘সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিছে।’