shono
Advertisement

কোন শর্তে সংরক্ষণ আর্থিকভাবে দুর্বল নাগরিকদের? বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল রাজ্য

সংরক্ষণের আওতায় আসতে পারেন আপনিও, জেনে নিন শর্তাবলী। The post কোন শর্তে সংরক্ষণ আর্থিকভাবে দুর্বল নাগরিকদের? বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:47 PM Jul 15, 2019Updated: 03:47 PM Jul 15, 2019

সন্দীপ চক্রবর্তী: ঘোষণা অনুযায়ী আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে স্পষ্ট করে দেওয়া হল শর্তগুলিও৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের জন্য এই সংরক্ষণের কথা বিধানসভায় ঘোষণা করেছিলেন। বার্ষিক আট লক্ষ টাকা বা তার কম যে পরিবারের আয় তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন। সোমবার নবান্ন থেকে এই বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে কী কী শর্তে এই সুবিধা পাওয়া যাবে, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোলে মৃত ছেলে, শিয়ালদহ স্টেশনে দেহ আগলে বসে রইলেন মা]

১. পরিবারের মাসিক আয় ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকার কম হতে হবে। অর্থাৎ বছরে আট লাখ টাকার কম আয় হতে হবে।
২. শহর এলাকায় ১ হাজার বর্গফুটের কম আয়তনের ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকলে তবেই সুবিধার আওতাভুক্ত।
৩. পুরসভা এলাকায় ১০০ বর্গগজ ও গ্রামে ২০০ বর্গগজের বেশি বাসযোগ্য জমি থাকলে সংরক্ষণের সুবিধা মিলবে না।
৪. কৃষক পরিবারের ক্ষেত্রে পাঁচ একরের কম চাষযোগ্য জমি থাকলে তবেই শিক্ষা-চাকরিতে সংরক্ষণ।
৫. জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসক এই সংক্রান্ত শংসাপত্র দেবেন।
৬. তপশিলি জাতি ও উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের সুবিধাভোগীরা এই নতুন সরকারি সুবিধা পাবেন না।

রাজ্যের সাধারণ শ্রেণির মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের শিক্ষা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা দিতে নতুনভাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যে বিজ্ঞপ্তি নবান্ন থেকে জারি হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মাসে ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা যে পরিবারের আয় তাঁরাই এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পুরসভা এলাকায় যাঁদের বাড়ি আছে, তাঁদের ফ্ল্যাটের আয়তন এক হাজার বর্গফুটের কম, তাঁরা এই সংরক্ষণের আওতায় আসবেন। চাষি পরিবারের যাঁদের পাঁচ একরের কম জমি তাঁদেরও এই সুবিধা দেবে রাজ্য।

[আরও পড়ুন: বাঙুরের পর এবার এসএসকেএম, শৌচাগার থেকে উদ্ধার রোগীর ঝুলন্ত দেহ]

১০০ বর্গগজ বা তার বেশি মাপের বাসযোগ্য জমি পুরসভা এলাকায় থাকলে তিনি এই সুবিধা পাবেন না। এছাড়া গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে ২০০ বর্গগজ বা তার বেশি বাসযোগ্য জমি থাকলেও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত তিনি হবেন না। আয় এবং সম্পত্তির শংসাপত্র দেওয়ার অধিকারী থাকবেন, জেলাশাসক বা অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসার। একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটে গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বিডিও, পুরসভাগুলোর ক্ষেত্রে মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করতে হবে। নাগরিক পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড, জন্ম শংসাপত্র বা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড, পে স্লিপ, আয়ের শংসাপত্র, বাসস্থানের শংসাপত্র, পরচা বা রেজিস্টার্ড ডিড প্রভৃতি জমা দিতে হবে। নির্দিষ্টভাবে সমীক্ষা বা তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

The post কোন শর্তে সংরক্ষণ আর্থিকভাবে দুর্বল নাগরিকদের? বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল রাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement