সুমন করাতি, হুগলি: সি সেকশনের পর কেন প্রসূতি মৃত্যু? হুগলির চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন স্বাস্থ্যদপ্তরের। কারা করেছিলেন অপারেশন, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। অপারেশন সময় কিংবা আগে বা পরে যে ওষুধ বা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়, তার গুণগত মান খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম যথাযথ ছিল কিনা, তা-ও তদন্ত করে দেখবে ওই কমিটি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধিদের যাওয়ার কথা। এদিকে, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যরা।
ইমামবাড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত সোমবার হাসপাতালে পাঁচ জন প্রসূতি সিজারের পর সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই পাঁচজনই অসুস্থ বোধ করেন। সকলকেই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। পাশাপাশি পাঁচ শিশুকে এসএনসিইউতে স্থানান্তরিত করানো হয়। মঙ্গলবার রাতে দুই প্রসূতিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, ভরা রাস্তায় বউদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি হাতে হামলা দেওরের!]
প্রসূতিদের পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগেই ওই দুই মাকে কলকাতায় পাঠায়। সিজারে গাফিলতি রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে বাকি প্রসূতির পরিবারের মধ্যে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওই হাসপাতালে যান। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর বলেন, "কী থেকে এমনটা হল, তা নিয়ে আমরাও চিন্তিত। তদন্ত করছি। সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।’’ উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে 'চোখের আলো' প্রকল্পে ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দৃষ্টিশক্তির হারানোর অভিযোগ করেন বেশ কয়েকজন। তা নিয়েও প্রায় গোটা রাজ্যেই জোর শোরগোল পড়ে যায়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিরোনামে সরকারি হাসপাতাল। এবার সি সেকশনের পর প্রসূতি মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।