নব্যেন্দু হাজরা: ‘জনাব নয়, শ্রী বলুন। বাংলায় কথা বললে মানানসই ভাবেই সম্বোধনটা করুন।’ বুধবার বাস উদ্বোধনের মঞ্চে এভাবেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের ‘ভুল’ শুধরে দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
কসবায় এদিন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের দূরপাল্লার ভলভো বাসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখার জন্য ফিরহাদের নাম ঘোষণার সময় তাঁকে ‘জনাব’ বলে সম্বোধন করেন সঞ্চালক। পরিবহণমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালককে বলেন, “আপনি সংশোধন করুন, যদি বাংলায় কথা বলেন, তখন শ্রী, উর্দুতে কথা বললে তখন জনাব, যখন ইংরেজিতে কথা বলবেন তখন মিস্টার। ধর্মের সাথে ভাষার সম্পর্ক নেই।” পরে মন্ত্রী আরও সংযোজন করেন, “বাংলাদেশে জনাব বলে এই কারণে যেহেতু সেখানে অনেকদিন পাকিস্তানী শাসন ছিল, তাই তাঁরা প্রভাবিত হয়ে গিয়েছিল। সেই জন্য জনাব, পানি এসব বলে। কিন্তু আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উর্দু ইনফ্লুয়েন্সড হয়নি।”
[আরও পড়ুন: নৃশংস! প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক কোপে কিশোরীর মাথা কেটে খুন করল যুবক]
প্রসঙ্গত, এদিন পরিবহণ ভবন (দুই) থেকে চারটে দূরপাল্লার রুটে বাস উদ্বোধন করেন পরিবহণমন্ত্রী। এদিন থেকেপুরুলিয়া, ফারাক্কা, ঝাড়গ্রাম এবং আসানসোল রুটে এসবিএসটিসির ভলভো বাস চালু হল। ফরাক্কা এবং পুরুলিয়াতে থাকছে রাত্রিকালীন পরিষেবাও। মানে যাত্রীরা রাতে বাসে চড়বেন আর ভোরে গিয়ে নামবেন। ঝাড়গ্রাম থেকে সকাল বেলা বাস ছেড়ে কলকাতায় আসবে আর বিকেলে কলকাতা থেকে ফিরবে। সকালে কলকাতা থেকে আসানসোল যাবে আর দুপুরে ফিরবে আসানসোল থেকে। রোজই চলবে বাস। নতুন এই ভলভো পরিষেবা শুরু হওয়ায় এবার প্রত্যন্ত এলাকার যাত্রীরাও খুব দ্রুত কলকাতায় এসে সে দিন রাতেই আবার ফিরে যেতে পারবেন।
এদিন বাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফিরহাদ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন রাজ্যের কোনও এলাকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁরই প্রচেষ্টায় গত ১১ বছরে পশ্চিমবঙ্গ অনেক পালটে গিয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও ভালো করতেই চার রুটে ভলভো পরিষেবা চালু হল। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মানুষও সকালে কলকাতায় এসে সারাদিন কাজকর্ম সেরে রাতেই আবার ফিরে যেতে পারবেন।”