সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের মূল বাধা আদালত। এক সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য পুলিশের হাত, পা আদালতই বেঁধে দিয়েছে বলেই দাবি তাঁর।
গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালি হানা দেয় ইডি। তৃণমূল নেতার দেখা মেলেনি। বাড়িতে তল্লাশিও করতে পারেননি আধিকারিকরা। হামলার শিকার হন তাঁরা। অভিযোগ, শাহজাহানের নির্দেশেই হামলার শিকার হন তাঁরা। তার পর থেকেই ফাঁকা সাম্রাজ্য। ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। প্রায় দেড় মাস ধরে ‘ফেরার’ সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। মামলার জল গড়িয়েছে আদালতেও। কেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’কে ধরতে পারছে না পুলিশ, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। যদিও রাজ্য পুলিশের ডিজি সম্প্রতি প্রশ্ন তোলেন, ইডি কেন গ্রেপ্তার করছে না শাহজাহানকে? ডিজির আরও দাবি, আদালতের কারণেই পুলিশ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। কারণ, ইডির সওয়ালেই আদালত রাজ্য পুলিশের এফআইআরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
[আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে মৃত বাংলার শ্রমিক, রুদ্ররোষে প্রাণ হারালেন আরও ১১]
এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’র দাবি, রাজ্য পুলিশই শাহজাহানকে ধরতে পারে। এক সংবাদমাধ্যমে তাঁর আরও দাবি, “সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার করে এনেছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধেও দল ব্যবস্থা নিয়েছে। তা হলে শাহজাহানকে গ্রেপ্তার না করার কী আছে?”
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ, গরু পাচার, রেশন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি একাধিক নেতা-মন্ত্রী। লোকসভা ভোটের মুখে দুর্নীতি ইস্যুতেই শাসক শিবিরকে ঘায়েল করতে চাইছে বিরোধীরা। আবার দুর্নীতি ইস্যুতে পালটা বার বার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথাই জানিয়েছে তৃণমূল। গ্রেপ্তারির দিন পাঁচেকের মধ্যে মন্ত্রিত্ব-সহ সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও হারিয়েছেন মন্ত্রীপদ। যদিও শেখ শাহজাহানের ক্ষেত্রে তৃণমূল যথেষ্ট ‘নরম মনোভাবাপন্ন’ বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে কী বিরোধীদের জবাব দিতেই এমন মন্তব্য অভিষেকের, স্বাভাবিকভাবেই ওয়াকিবহাল মহলে উঠছে প্রশ্ন।