শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার ঘটনা এখনও টাটকা বঙ্গ রাজনীতিতে। গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়ে যায়। বিজেপির আইটি সেল সেই অডিও ফাঁস করেছে বলে অভিযোগ। শীতলকুচির ঘটনায় নয়া মাত্রা যোগ করেছে সেই অডিও (audio)। এবার সেই অডিও রেকর্ডিং নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাইল দিল্লির নির্বাচন দপ্তর। মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চান দিল্লির কর্তারা। বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
গত ১০ তারিখ কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোট চলাকালীন জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। বিজেপির তরফে ফাঁস হওয়া এক অডিও টেপে শোনা গিয়েছে, জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে এই বিষয় কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ওই মৃতদেহগুলি যেন আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া না হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেখানে যাবেন, দেখা করবেন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেই বিজেপি অভিযোগ তোলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লাশের রাজনীতি’ করছেন। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
[আরও পডুন: উত্তরপ্রদেশের ৫ শহরে হচ্ছে না লকডাউন, সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি যোগী সরকারের]
সোমবার বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দপ্তরে গিয়ে সেই অডিও টেপ জমা দেয় শীতলকুচি কাণ্ডের আরেকটি নমুনা হিসেবে। এরপর মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। সেদিনের ঘটনার জন্য শীতলকুচির এই বুথে পুনর্নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কিন্তু দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনাটি যথেষ্ট স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করছেন কমিশনের কর্তারা। গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করতে চান তাঁরা। সূত্রের খবর, সবটা স্পষ্ট হওয়ার পরই জোড়পাটকির ১২৬ নং বুথে কবে ফের ভোট নেওয়া হবে, তা ঠিক হবে।