shono
Advertisement

Breaking News

পড়ুয়াদের মন বুঝতে রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলে ‘আনন্দ পরিসর’, বসবে শিশু সংসদও

'আনন্দ পরিসরে' শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের মধ্যে পঠনপাঠনের বাইরের কোনও বিষয়ে আলোচনা হবে।
Posted: 08:51 AM Oct 27, 2022Updated: 08:51 AM Oct 27, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: পাঠ‌্যবইয়ের বাঁধা ছকের বাইরে আর কোন প্রশ্ন আলোড়ন তুলছে পড়ুয়াদের মনোজগতে? নিজের জিজ্ঞাসা কি আদৌ মেলে ধরতে পারছে ছাত্রছাত্রীরা? পড়ুয়া মনের সেই গহনের হদিশ পেতেই এবার ক্লাসরুমের চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে শুরু হচ্ছে বিশেষ ক্লাস। ‘আনন্দ পরিসর’ নামে এই বিশেষ ক্লাসে পঠন-পাঠনের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের আলোচনা হবে। ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করার পাশাপাশি পরস্পরের সাবলীল কথোপকথনে অজানা অচেনার কপাট খুলে দেওয়াই হবে ওই বিশেষ ক্লাসের উদ্দেশ‌্য। কীভাবে ‘আনন্দ পরিসর’ পরিচালিত হবে, সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়েছে দপ্তরের তরফে। আগামী শিক্ষাবর্ষ তথা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই প্রতিটি স্কুলে এই নতুন কার্যকলাপটি চালু হতে চলেছে।

Advertisement

গাইডলাইন অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ‘আনন্দ পরিসর’-এর আয়োজন করা হবে। প্রতি সপ্তাহে প্রতিটি শ্রেণির শেষ ক্লাস যেমন, শনিবারের শেষ ক্লাসটিকে ‘আনন্দ পরিসর’ হিসাবে পালন করা হবে। আনন্দ পরিসরে শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের মধ্যে পঠনপাঠনের বাইরে আলোচনা হবে। আঁকা, গান, নাটক, বৃক্ষরোপণের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ক্লাসরুমটি পড়ুয়াদের ছবি দিয়ে সাজাতে হবে। শিক্ষকের ছবি ও বায়োডাটা ক্লাসরুম বা স্কুলে কোনও স্থানে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে পড়ুয়া-শিক্ষক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। 

[আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটে বেনজির, প্রথমবার সিলেবাস, মডেল প্রশ্নপত্র-সহ গাইডলাইন প্রকাশ পর্ষদের]

এছাড়া, শিশু অবস্থাতেই পড়ুয়াদের ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলতে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে ‘শিশু সংসদ’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। শিশু সংসদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের ম্যানেজমেন্ট, উন্নয়ন, বিকাশ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও। শিশু সংসদ গঠন নিয়ে প্রকাশিত গাইডলাইন অনুযায়ী, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা শিশু সংসদে যোগ দিতে পারবেন। এই সংসদেও থাকবে মন্ত্রিসভা। যেমন, রান্না করা মিডডে মিল ও কিচেন গার্ডেন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে একজন খাদ্যমন্ত্রী। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পানীয় জলের দায়িত্বে থাকবে পিএইচই মন্ত্রী। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তত্ত্বাবধানে থাকবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। থাকতে পারে প্রধানমন্ত্রী পদও।

এছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন, বিতর্কসভার আয়োজন, দেওয়াল ম্যাগাজিন প্রকাশ-সহ শিশু সংসদ করতে পারে এরকম মোট ৯ রকমের কাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে গাইডলাইনে। শিশু সংসদের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্বভার সামলাবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। শিশু সংসদ যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তা নিশ্চিত করবেন প্রেসিডেন্ট। সংসদের বৈঠক আয়োজন এবং রেকর্ড রাখার দায়িত্বও ন্যস্ত থাকবে তাঁর উপর। স্কুল শিক্ষাদপ্তরের মতে, শিশু সংসদ পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশে এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্বসুলভ গুণাবলী ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এগুলির সঙ্গে স্কুলে ‘হাউস ব্যবস্থা’ গঠন এবং নতুন শ্রেণিতে উন্নীত পড়ুয়াদের জন্য ‘গ্রাজুয়েশন সেরেমনি’ আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রতিটি নতুন কার্যকলাপ কীভাবে পরিচালিত হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইন আগেই প্রকাশ করা হয়েছে দপ্তরের তরফে।

[আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসার তত্ত্ব খারিজ! ডায়মন্ড হারবারে কালীমূর্তি ভেঙেছেন কারিগররাই, দাবি পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement