নিরুফা খাতুন: এক রাতের ঝড়বৃষ্টিতে বাংলায় আবহাওয়া বদল। একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রা। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার ট্রেলার ছিল। মঙ্গলবারও হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কলকাতা-সহ মোট ১১ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। তার ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে সমুদ্রে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মঙ্গলবার কলকাতা-সহ ১১ জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস।
[আরও পড়ুন: তুমুল বৃষ্টিতে বিপত্তি, কলকাতায় নামতে পারল না নাইটদের বিমান]
কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৫০-৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৪০-৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় বৃষ্টি ও ঝড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, একটানা দাবদাহের পর সোমবার বিকেলে কালবৈশাখীর দেখা মেলে। স্বস্তির বৃষ্টিতেও বিপত্তি।কালবৈশাখীর প্রথম ধাক্কাতেই কাটোয়া ও কেতুগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। জখম একজন। কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে বিশ্বনাথ থান্দার (৬৮) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সুষ্মিতা সোরেন (১৪) নামে এক কিশোরী বজ্রপাতে জখম হয়। পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, অন্যান্য জেলায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়াতেও ইটভাটায় দেওয়াল চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে।