বিয়ে মানেই এলাহি আয়োজন। মূল পর্ব ছাড়াও থাকে ছোটো ছোটো অনেক অনুষ্ঠান। তাই, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গয়নার মিক্স অ্যান্ড ম্যাচের ব্যাপারটা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে নববধূরা ভারী গয়না পরতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। সেক্ষেত্রে একটা জড়োয়া আর নজরকাড়া ডিজাইনের একটি সীতাহারই বাজিমাত করতে পারে। বিয়ের জমকালো সাজের সঙ্গে অপূর্ব লাগবে। নাকে নথ, পায়ে নূপুর মাস্ট। গয়না পরার সময় শুধু খেয়াল রাখতে হবে তা যাতে ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়, এবং অলংকারের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ থাকে। আবার নিজেকে অস্বস্তির মুখেও পড়তে না হয়।
গলায় পরতে পারেন চিকন চোকার, দু-তিন লেয়ারের মুক্তোর হার, পেনডেন্ট। হাতে পরতে পারেন কয়েকগোছা চুড়ি, নান্দনিক ডিজাইনের একখানা বালা। অমৃতপাকের বালা খুব সুন্দর দেখতে। এই ধরনের বালায় পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে নকশা করা হয়, সেই কারণেই একে অমৃতপাকের বালা বলা হয়। অনেক সময় দু’টি মকরের মাধ্যমে বালার মুখ জোড়া থাকে। তাই একে মকরমুখী বালাও বলা হয়ে থাকে। ট্রাই করতে পারেন।
আবার, হাতে খুব বেশি কিছু পরতে না চাইলে শাঁখা-পলা নোয়ার সঙ্গে জাস্ট একটা মানতাসা পরে নিন। মানতাসা অনেকটা রিস্টলেটের মতো। তবে, এই গয়না বেশ ভারী এবং চওড়া। এটি পরা হয় একেবারে কব্জির কাছে। চওড়া ও চৌকো আকৃতির হয় এবং সঙ্গে চেন লাগানো থাকে। চেন দিয়েই এটি আটকানো হয়।
বিয়ের দিন অনেক বেশি জবুথবু থাকেন কনেরা। সামান্য টেন্সডও। তাই, রিসেপশনে থাকতে হবে ঝাড়া হাত-পা। আমন্ত্রিতদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয়, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সহজে হাঁটাচলা, মেলামেশার সুবিধার্থে হালকা গয়না ও পোশাকের কোনও বিকল্প নেই। নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী গলায় সরু হার, কানে ঝুমকো পরতে পারেন। সোনার গয়নার পাশাপাশি পাথর, পুঁতি, কুন্দন, মুক্তো দিয়ে গোল্ডপ্লেটেড গয়না গড়িয়ে নিতে পারেন ইচ্ছেমতো। মেটালের অক্সিডাইজড বা অ্যান্টিক পলিশের গয়নাতেও চমৎকার লাগে নববধূদের।
(প্রতিবেদনটি 'ছাঁদনাতলা' ফিচারের অংশ।)