বিয়ের দিন যে শুধু পোশাক আর সাজগোজে নজর থাকে, তা নয়। বাহারি চুলের বাঁধনও হওয়া চাই নজরকাড়া। এককালে ঘরোয়া উপায়েই চুল বাঁধতেন কনে। সাহায্য করতেন বাড়ির অভিজ্ঞ মহিলারা। পোশাকের মতো না হলেও চুলের সজ্জাতেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হত। তবে, হেয়ারস্টাইলের প্রতি আলাদা গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে এখনকার বিয়েতে। বিয়ের প্রস্তুতিতে চুল বাঁধার কলাকৌশলের দিকেও যথেষ্ট নজর দেওয়া জরুরি। অন্য কারোর হেয়ারস্টাইল অনুকরণ করার অবশ্য দরকার নেই। মুখের সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইলেই খোলতাই হয় সৌন্দর্য।
সাধারণ ভাবে বলা যায়,বিয়ের সাজে বিনুনির থেকে খোঁপার কদরই বেশি।
যেমন :
১) আপনি মেসি বান ট্রাই করতে পারেন। যাঁদের কোঁকড়া চুল তাঁদের ক্ষেত্রে এই স্টাইল খুব সহজেই করা সম্ভব। একটা আলগা খোঁপা করে নিন। যেন একটু অগোছালো দেখায়। তাতে জুড়ে দিন সুন্দর একটা কাঁটা। ব্যাস। গায়ে হলুদের সকালবেলা কেউ চোখ ফেরাতে পারবে না আপনার থেকে।
২) ফুলের সাজ সবসময়ই অন্যরকম মুগ্ধতা দেয়। বিয়ের দিন তার সৌন্দর্য বেড়ে যায় দ্বিগুণ। বাঙালি কনের অতি প্রাচীন সাজ এটি। মাথার মাঝখানে সিঁথি ক'রে সাধারণ খোঁপা ক'রে নিন। সিঁথির পাশের অংশ হালকা ফুলিয়ে পরুন ভারী টিকলি। চওড়া মাথাপট্টিও চমৎকার লাগে। এবার খোঁপা ঢেকে ফেলুন ফুল দিয়ে। গোলাপ, জুঁই অথবা রঙিন গজরাও ট্রাই করতে পারেন। সাথে জিপসি রাখুন।
৩) রিসেপশনের দিন সাইট কার্ল করতে পারেন। মাথার মাঝে সিঁথি না ক'রে ডান বা বাঁদিকে সিঁথি করুন। চুল কোঁকড়া ক'রে নিন। ঘাড়ের পাশ দিয়ে যে কোনও একদিকে চুল ঘুরিয়ে নিয়ে সামনে ফেলে রাখুন। চুলের নীচের অংশ ভালো ভাবে কোঁকড়া করে নিন। চুল কাঁধের যেদিক দিয়ে সামনে এনেছেন, তার অপরদিকে পছন্দের ফুল লাগান। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং অর্কিডও বেশ ট্রেন্ডিং। আর সঙ্গে রাখতে পারেন পুঁতির সাজ। ব্যস! ধন্যি ধন্যি করবে সবাই।