সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দলে ফের ভাঙন। এবার বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন শান্তিপুরের ‘তৃণমূল’ বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya)। বুধবার দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক ভুপেন্দ্র যাদবের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন শান্তিপুরের বিধায়ক। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। দলত্যাগের কারণ হিসেবে অরিন্দমের দাবি, “রাজ্যে যুবকদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই। বারবার পরামর্শ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আজ বাংলায় কাজ না পেয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে রাজ্যের যুবকদের। রাজ্যে কাজ হচ্ছে না, শুধু রাজনীতি আর ব্যক্তিগত কুৎসা হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন সফল করতে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।”
অরিন্দম একসময়ে রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে শান্তিপুর থেকে বিধায়ক হন। হারিয়েছিলেন আরেক প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে’কে। পরে কংগ্রেস ছেড়ে নিজেই তৃণমূলে যোগ দেন শান্তিপুরের বিধায়ক।যদিও, দলত্যাগের পরও বিধায়কপদ ত্যাগ করেননি তিনি। এতদিন কাজ করছিলেন শাসকদলের হয়েই। তবে তৃণমূলে যোগদানের পর অজয় দে’র সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয়নি তাঁর। যার ফলে শান্তিপুরে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। ক্রমে শাসকদলের ক্ষমতার বৃত্ত থেকে সরে যাওয়ার ফলেই অরিন্দম বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া, ২০১৯ লোকসভায় শান্তিপুরে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেটাও বিধায়কের দলত্যাগের কারণ হতে পারে।
[আরও পড়ুন: বাদ সাধল খারাপ আবহাওয়া, নদিয়ার শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা বাতিল রাজ্যপালের]
এদিকে, অরিন্দমের বিজেপি যোগের দিন শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন আরও এক বিধায়ক। হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghoshal) এদিন তোপ দেগেছেন নিজের দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। প্রবীরবাবুর অভিযোগ, “তাঁকে হারানোর জন্য দলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধান নিজের এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে দিচ্ছেন না।” প্রসঙ্গত, উত্তরপাড়ার বিধায়কের গলায় আগেও উলটো সুর শোনা গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় সুবিধা পেতে পুরসভা ভোট করাচ্ছে না তৃণমূল, অভিযোগ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি অধীরের]
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসকদলের ফাটলও যেন তত চওড়া হচ্ছে। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হাত ধরে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা এবং বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। যদিও রাজ্যের শাসকদল এই দলত্যাগে খুব একটা চিন্তিত নয়।