দীপঙ্কর মণ্ডল ও মণিশংকর চৌধুরী: এতদিন ছিলেন বিধায়ক। প্রথমবার নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবং অবশ্যই বিজেপির তরফে এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছেন। প্রতিপক্ষ আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজর রয়েছে শুভেন্দুর দিকে। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ের ৭৬ নং বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নন্দনায়েকবাড়ের ওই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এক দলীয় কর্মীর বাইকে চেপে ভোট দিতে যান তিনি। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও আসেন বাইকে চেপেই। পরনে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। বিজেপি প্রার্থী পৌঁছাতেই ওই ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে জড়ো হন প্রচুর মানুষ। আশেপাশের বাড়ির ছাদে এবং বুথের বাইরেও মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জমায়েতের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বহরও ছিল লক্ষণীয়। নন্দনায়েকবাড়ের এই বুথে মোট ভোটার মাত্র ৬০০ জন। স্বাভাবিকভাবেই ভোটারদের ভিড় তেমন চোখে পড়েনি। তবে, শুভেন্দু অধিকারী বুথে আসতেই তাঁকে ঘিরে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়, সেটা বেশ লক্ষনীয়।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগের রাতে কেশপুরে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ! কাঠগড়ায় বিজেপি]
ভোট দিয়ে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, ‘এবারে উন্নয়ন জিতবে এবং তোষণ পরাস্ত হবে।’ তাঁর কথায়, “সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। আমার তরফ থেকে তেমন কোনও অভিযোগ নেই। দু’টি বুথে আমার এজেন্টদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। নিয়ম মেনেই হোক।” বিজেপি প্রার্থীর দাবি, সব বুথেই তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট রয়েছে। তবে, অন্তত ৮০টি বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতা স্বদেশ দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু মিথ্যে বলে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এদিকে, এদিন সাতসকালেই নন্দীগ্রাম (Nandigram) থানায় গিয়ে হাজির হন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন তিনি। যদিও, ঠিক কী অভিযোগ তা স্পষ্ট নয়।